আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এ মেয়াদে চতুর্থ বছর পূর্ণ করেছে। এ প্রেক্ষাপট পরিষ্কার করতে গিয়ে উন্নয়নের কথাটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসেছে। কী কী ক্ষেত্রে উন্নয়ন স্বাভাবিক গতিতে চলে আসছিল এবং বাংলাদেশ যে এখন উন্নয়নের রোল মডেল তা এসেছে।
ড. মীজানুর রহমান বলেন, ভাষণে জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের যে সফলতা, জিরো টলারেন্স নীতি ছিল, বিশেষ করে ২০১৬ সালে জুলাই মাসের হলি আর্টিজেন ঘটনার পরে একধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ কতটা সফলতা দেখাতে পারবে। আমরা দেখেছি সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে পাকিস্তান, আফগাস্তিান বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেভাবে জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বড় করেছে আমাদের এখানে সেটি হয়নি। বরং তাদের মূলোৎপাটনে নিরাপত্তা বাহিনী সফলতা দেখিয়েছে। ভাষণে জঙ্গিবাদের সফলতা যৌক্তিভাবেই এসেছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে হাওড় এলাকায় বন্যার ফলে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর ফলে খাদ্যসংকটে পড়ে বাংলাদেশ। প্রায় ২০-৩০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য যেভাবে বেড়েছিল, তা মোকাবিলা করে সরকারের খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত নিশ্চিত করতে পারা তাদের অন্যতম সফলতা। অপ্রত্যাশিতভাবে রোহিঙ্গাদের যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে বাংলাদেশে, প্রথম দিকে কিছুটা ইতস্ততা থাকলেও পরবর্তী পর্যায়ে রোহিঙ্গা সমস্যাটি যেভাবে সরকার তা মোকাবিলা করল, শেখ পর্যন্ত মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের জায়গা দিল তাতে আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। বিশেষ করে তার বিচক্ষণতা, তার সততা, দার্শনিক চিন্তা, রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে পরিকল্পনা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনিই এখন আমাদের ভরসার জায়গা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।