লিহান লিমা: জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির (৪৫) উত্থান বিস্ময়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। জাতিসংঘের প্লাটফর্মে তিনি যে দৃঢ়তা, কঠোরতা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন, তাতে অন্য কূটনৈতিকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে হ্যালিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখার সম্ভাবনা আশ্চর্যজনক কিছু নয়।
ইউরোপিয় কাউন্সিলের বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ রিচার্ড গাউন বলেন, ‘হ্যারির নিজস্ব রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে। জেরুজালেম এবং জাতিসংঘে মার্কিন বাজেট কমানোর ইস্যুতে হ্যালির কঠোর অবস্থানের কাছে বেশিরভাগ বৈদেশিক প্রতিনিধিকে অসহায়ত্ব দেখাতে দেখা গেছে।’
নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক কূটনৈতিকের মতে, ‘জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘে হ্যালির বলা ‘আমেরিকা একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে নিজের অধিকারের চর্চা করে’ কথাটি যতটা না বৈদেশিক কূটনৈতিকদের উদ্দেশ্যে, তার চাইতে বেশি ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল।’ পূর্ব-এশিয়ায় অস্ত্র-বিস্তার রোধ প্রকল্পের পরিচালক জেফরি লুইস বলেন, ‘হ্যালি তার বর্তমান চাকরি থেকে ভবিষ্যত চাকরি নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভোট নয়, ২০২০ কিংবা ২০২৪ সালের ভোট জিততে চাইছেন।’ বিশেষ করে, ইরান ও উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে হ্যালির মন্তব্য রিপাবলিকান ভোটারদের আকৃষ্ট করবে, যারা বিশ্বকে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ হিসেবে দেখে।
হ্যালির মিত্র ক্যাটোন দোসন বলেন, ‘হ্যালি রাজনীতির হট গার্ল। ২০২২ সাল থেকে সে ক্যালেন্ডার গোনা শুরু করে পারে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিলে সে অনেক সময় পাবে।’
মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনে দাঁড়ালে হ্যালি রিপাবলিকান নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। এছাড়া ভারতীয় অভিবাসীর কন্যা হিসেবে মার্কিন অভিবাসীদের সমর্থন কুড়ানোর সুবিধাও তার আছে।
এছাড়া, জাতিসংঘ থেকে হোয়াইট হাউসে পা রাখা নতুন নয়। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ১৯৭০ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮১ সালে বুশ প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন এবং ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওভাল অফিসে জায়গা করে নেন। এনডিটিভি।