অহিদ উদ্দিন মুকুল, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আগুনে পুড়ে হাসমতের নেছা (৮০) নামের এক গৃহবধূ ও সেনবাগ উপজেলায় বাস চাপায় নিমাই চন্দ্র দাস (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।বুধবার সকালে সেনবাগ ও মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুবর্ণচর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- সুবর্ণচর উপজেলার ওয়াপদা ইউনয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর বৈশাখী গ্রামের সৈয়দ মিয়ার বাড়ীর বাসিন্দা হাসমতের নেছা ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুঠিবাজার এলাকার বাবু হরিধণের ছেলে নিমাইল চন্দ্র দাস।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে অফিসের কাজে সিএনজি অটোরিকশা যোগে সেনবাগ কৃষি বিভাগের পরিচ্ছন্ন কর্মী নিমাই চৌমুহনী বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের ফতেহপুর মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসা সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিতে থাকা নিমাই ও চালক গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন নিমাইকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিমাইয়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে বুধবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, মঙ্গলবার রাত ৯টার জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামে সৈয়দ মিয়ার বাড়ির বসত ঘরে বাতি (কুপি) খড়ের মধ্যে পড়ে ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত আগুন সম্পূর্ণ ঘরে ছড়িয়ে পড়লে ঘরে থাকা প্রতিবন্ধী গৃহবধূ হাসমতের নেসা অগ্নিদগ্ধ হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন আগুনের লেলিহান দেখে ছুঁটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তার ঘরে গিয়ে হাসমতের নেছার পোড়া কঙ্কাল দেখতে পায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ উদ্দিন মোক্তার বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় হাসমতের নেছা ছাড়া আর কেউ ঘরে ছিলনা। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারেননি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ,আগুনে পুড়ে গৃহবধূ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।