শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৭ সকাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্ধ শতাধিক বছরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারিকরণ হয়নি প্রাথমিক শাখা

তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অর্ধশতাধিক বছরেও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখাসহ শিক্ষকদের পদগুলো সরকারিকরণ করা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে আবেদন নিবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, সরকার শিক্ষার উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখাটি আজও অবহেলিত রয়ে গেছে। তাদের মতে যেখানে সরকারিভাবে প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু কি কারনে এ বিদ্যলয়ের প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীরা আজও রয়ে গেছে অবহেলিত।

নারী শিক্ষার অন্যতম সুঁতিকাগার জেলা শহরের বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয় । একসাথে ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত একজন প্রধান শিক্ষকের কর্তৃত্বে একই ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়ে আসছে বিদ্যালয়টি। তথ্য মতে স্কুলটি ৭০ দশকের দিকে ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত জাতীয়করণ করার বিষয়টি উল্লেখ করা সত্ত্বেও  প্রাথমিক শাখাটি অজ্ঞাত কারনে দুর্ভাগ্যবশত আজও একই অবস্থায় রয়ে গেছে । বর্তমানে বিদ্যালয়টি ৮টি শাখায় প্রায় ৬৫০ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত এবং ৬ জন শিক্ষিকা ও ১ জন এম.এল.এস.এস কর্মরত আছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরিচালিত হয়। ছাত্রীদের নিকট থেকে আদায়কৃত বেতন থেকে শিক্ষক ও কর্মচারী বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। স্বল্প বেতনভোগী শিক্ষকরা নিরলসভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। শিক্ষকদের এত বছর যাবৎ পথ চলার একটা স্বপ্ন ছিল একদিন চাকুরীটি সরকারিকরণ হবে। উল্লেখ্য যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে অবস্থিত একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরকে ৭০ দশকের শেষ ভাগে আত্মীকরণ করা হয়। এমতাবস্থায় সাবেরা সোবহান প্রাথমিক শাখাটি সরকারিকরণ করলে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান আরও উন্নতি হবে এবং নারী শিক্ষা সম্প্রসারণে আরও অধিকতর সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে অনেকেই মনে করেন। স্কুলে অধ্যায়নরত ছাত্রীদের অবিভাবকরা জানান, যদি প্রাইমারী শাখাটি শতভাগ সরকারীকরন করা হত তাহলে পড়াশোনার মান আর আরও ভালো হত। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান আমরা ছাত্রীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য সব সময় পরিশ্রম করে যাচ্ছি সরকারিকরণ না হওয়ায় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এ বিষয়ে সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের তরফ থেকে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রয়োজনে আবারো প্রস্তাব পাঠানো হবে। জেলা প্রথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা শুভ্রত কুমার বণিক বলেন, আমরা এ বিষটি নিয়ে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলাম প্রয়োজনে আবারো পাঠাব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান ,আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আমাদের তরফ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

আনিস/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়