শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩৪ সকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আগে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ দিতে হবে’

স্পোর্টস ডেস্ক: গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ হকিতে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকরা প্রত্যাশিত ফল পেলেও মাঠের বাইরের বিতর্কিত ঘটনায় দেশের হকি অঙ্গনে চলছে তোলপাড়।
গত ১১ নভেম্বর এশিয়া কাপের পাঁচটি সাব-কমিটির চেয়ারম্যান আর সেক্রেটারির কাছে নির্দিষ্ট বাজেটের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। পাঁচটি সাব কমিটি হলো-মিডিয়া, ট্রান্সপোর্ট, গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিজ, আইন-শৃঙ্খলা এবং লিয়াজোঁ।

টুর্নামেন্ট কমিটির সেক্রেটারি মামুনুর রশীদ অবশ্য কোনও চিঠি পাননি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ। রবিবার জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ক্ষোভের সুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘যারা আর্থিক অনিয়মের কথা বলছেন, তাদেরকে প্রমাণ দিতে হবে। সাব-কমিটিগুলোকে আমি চিঠি দেবো। কারণ আমি টুর্নামেন্ট কমিটির সেক্রেটারি। টুর্নামেন্ট শেষে সবার হিসাব নিয়ে ফেডারেশন সেক্রেটারির কাছে আমার রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা।’

এ ব্যাপারে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলারও প্রয়োজন মনে করছেন না মামুন, ‘আমি টুর্নামেন্ট কমিটির সেক্রেটারি, অথচ আমিই কিছু জানি না। আর উনারা হিসাব নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন! আমি ফেডারেশন থেকে এক টাকাও পাইনি, এক টাকাও খরচ করিনি। আমি হিসাব চাইবো, নাকি হিসাব দেবো? আসলে একটা বিশ্রী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কত টাকা খরচ হয়েছে তা ফেডারেশনের সম্পাদক ভালো মতোই জানেন।’
বিষয়টি নিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘উনাদের (ফেডারেশনের দুই কর্মকর্তা) অনুমতি ছাড়া কোনও টাকা খরচ হয়নি। যদি কোনও কমিটি বাজেটের চেয়ে বেশি খরচ করে, তাহলে কৈফিয়ত চাইতেই পারে। কিন্তু সেটা করবে টুর্নামেন্ট সেক্রেটারি, তারপর তা ফেডারেশনকে জানাবে। আসলে হকিতে নোংরামি আর ব্যক্তিগত রেষারেষি চলছে। বলা হচ্ছে, এশিয়া কাপে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু কথাটা ঠিক নয়, ভুল।’
জাতীয় দলের পেছনে অঢেল অর্থ ব্যয়ের দিকে ইঙ্গিত করে মামুনের মন্তব্য, “এই টুর্নামেন্টে যে জাতীয় দলের পেছনে এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে, তার হিসাব কে দেবে? টুর্নামেন্টের মধ্যে জাতীয় দল পড়লে তো আমার কাছেই এই হিসাব দেওয়ার কথা।

যারা জাতীয় দলের দেখভাল করছেন, তাদের হিসাব-নিকাশে কি কোনও ভুল নেই? জাতীয় দল চীনে যাওয়ার সময় কলকাতা এয়ারপোর্টে একবেলা খাবারের বিল হয়েছিল এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা! আমি সাদেক ভাইকে (ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক) বলেছি, ‘অন্যদেরটা ধরলে এই বিল ধরছেন না কেন?’ সাদেক ভাই বলেছেন, তিনি বিল পাস করেননি।”
সবশেষে তার আক্ষেপ, ‘সাফল্যের সঙ্গে এশিয়া কাপের মতো বড় একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করলাম, কিন্তু কেউ ধন্যবাদ দেয়নি। হকিতে শুধু নোংরামি চলছে, গ্রুপিং চলছে। সব কিছু দেখে খুব বিরক্ত লাগে।’ বাংলাট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়