হ্যাপী আক্তার: পঞ্চগড়ের করোতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। ভোরে মোট আরো ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। যমুনা টিভি, ডিবিসি নিউজ
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
এর আগে মাঝরাতে আউলিয়া ঘাট থেকে ২ ও অন্য জায়গা থেকে আরো ৫ জনের মরদেহ করা হয়।। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৪ জনে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আত্রাই ও পুনর্ভবা নদী থেকেও ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়েছে।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী ও ১৩ জন শিশু রয়েছে। তারা পঞ্চগড় সদর, বোদা, দেবীগঞ্জ, আটওয়ারী ও ঠাঁকুরগাঁও সদরের বাসিন্দা।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটির যাত্রীরা মহালয়া পূজা উপলক্ষে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে এখনও তৎপরতা চলছে।
যারা মারা গেছেন এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ২১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের উদ্ধার বাকিদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোলেমান আলী বলেন, মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। যারা অসুস্থ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন তারা।
এ ঘটনাটি তদন্ত করতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীপংকর রায়কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে নৌকা ডুবিতে হতাহতের খবর আদান প্রদানে জরুরি তথ্য সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, এ জেলার ইতিহাসে ভয়াবহ ট্রলারডুবি এটি। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। জেলা প্রশাসন আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :