ইরানের শিক্ষা সম্প্রদায়ের ৫৬ শতাংশই নারী। এদের মধ্যে স্কুলে কর্মরত কর্মীদের ৬০ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। দেশটির নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহরা বেহরুজ-আজার এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের সক্ষমতা থেকে উপকৃত হওয়া। খবর বার্তা সংস্থা ইরনার।
আজার জানান, বর্তমান প্রশাসনে প্রথমবারের মতো নারী-সম্পর্কিত খাতে ১৫ জনেরও বেশি নারী নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রিসভায় চারজন নারী শীর্ষস্থানীয় ব্যবস্থাপনা পদে অধিষ্ঠিত এবং ৪৬ বছর পর প্রথমবারের মতো একজন নারী সরকারি মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নও বর্তমান প্রশাসনের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। বর্তমানে ৭০ শতাংশেরও বেশি গৃহব্যবসা নারীদের মালিকানাধীন এবং প্রশাসন তাদের ঋণ দিয়ে সহায়তা করছে।
বেহরুজ-আজারের মতে, ইরানি নারীরা দেশে ২৪ শতাংশেরও বেশি উদ্ভাবনের জন্য দায়ী, যেখানে বিশ্বব্যাপী গড়ে ১৭ শতাংশ।
“বর্তমানে, প্রায় ১২ শতাংশ উদ্যোক্তা এবং স্টার্ট-আপ নারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। আমরা আশা করি বর্তমান প্রশাসনের শেষ নাগাদ উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর উপস্থিতি ৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে,” তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: তেহরান টাইমস