ইকবাল খান: [২] কিছু বিশেষ ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ, স্মার্টফোন বা ডিজিটাল স্টেথোস্কোপের মতো সহজে পাওয়া যায় এমন কিছু যন্ত্র, যা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যেই আগাম ইঙ্গিত পাবেন যে আপনার হৃদযন্ত্র ঠিকঠাক চলছে কি না। সূত্র: বিবিসি বাংলা
[৩] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হৃদরোগের চিকিৎসায় কী কী অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য কলকাতায় এখন চলছে তিন দিনের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অফ ইণ্ডিয়া আয়োজিত ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, রাশিয়া সহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে গবেষক-চিকিৎসকরা এসেছেন।
[৪] ওই সম্মেলনেই যোগ দিতে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মিন্টু তুরাখিয়া। তিনি একদিকে যেমন হৃদযন্ত্রের ‘ছন্দপতন’-এর চিকিৎসা করেন, তেমনই বিখ্যাত এক ব্র্যাণ্ডের স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে কী করে হৃদযন্ত্রের কোনও ত্রুটির আগাম ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তা নিয়ে একটি বড় গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
[৫] ডা. তুরাখিয়া ব্যাখ্যা করছিলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে এমন একধরণের যন্ত্র আছে যেগুলো চিকিৎসকরাই শুধু ব্যবহার করতে পারেন। ইসিজি, হার্ট মনিটর প্যাচ, এমনকি এক্স-রে বিশ্লেষণ করার জন্যও এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো কোনও না কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়া যন্ত্র। চিকিৎসকরা এইসব যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরও নিখুঁত চিকিৎসা করতে পারেন।“
[৬] “আরেক ধরণের যন্ত্রও আছে, যেখানে এআই ব্যবহার করা হয়, কিন্তু আসলে সেগুলো ভোগ্যপণ্য। অ্যাপল ওয়াচের মতো স্মার্ট ওয়াচ বা সাধারণের ব্যবহারযোগ্য ইসিজির মতো ভোগ্যপণ্যগুলি কোনও চিকিৎসক ছাড়াই ইসিজি বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দিতে পারে যে হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা আছে কি না। এই সফ্টওয়ারগুলো অবশ্য সব দেশে এখনও ব্যবহার করা হয় না,” বলছিলেন ডা. তুরাখিয়া।
[৭] এমনকি স্মার্টফোনের ফ্ল্যাশ লাইটের ওপরে আঙ্গুল রেখেও হৃৎস্পন্দন মাপা যায়, এরকম অ্যাপও রয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন ডা. তুরাখিয়া।
[৮] আবার রোবোটিক সার্জারি প্রযুক্তিও অনেক হাসপাতালেই শুরু হয়েছে। সেখানেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ওই সার্জারিতে খরচ বিপুল।
[৯] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যেসব যন্ত্র আসছে, তা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুমোদিত হোক বা স্মার্টওয়াচ, স্মার্টফোনের মতো ভোগ্যপণ্য হোক, সেগুলির এখনও যা দাম, তা ভারতের মতো দেশের সিংহভাগ মানুষেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি স্বীকার করছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরাও।
আইকে/এইচএ