শিরোনাম
◈ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অ্যাসিড নিক্ষেপে শিশুসহ দগ্ধ ৩ ◈ বাংলাসহ বিশ্বের ৩৫ ভাষায় শোনা যাবে মক্কার জুমার খুতবা ◈ শাজাহানপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ কনষ্টেবলকে গণধোলাই  ◈ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন হুমকির মুখে: শিল্প, বিষ, পর্যটন ও জলবায়ুর প্রভাবে বিপন্ন জীববৈচিত্র্য ◈ উচ্ছেদের ৪৫ দিনের মাথায় ফের গজিয়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা: বাগেরহাটে সড়কপথে আবারও বিশৃঙ্খলা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইটে ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেপ্তার ◈ মুরাদনগরে নিখোঁজের একদিন পর বড় ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, মাটিচাপা অবস্থায় মিলল ছোট ভাইয়ের ঘরে ◈ ইরান কেন আমেরিকার কাছে নতিস্বীকার করে না: তাস‌নিম নিউজ এজ‌ন্সির প্রতি‌বেদন ◈ যে কারণে জোরপূর্বক লাখ লাখ আফগান শরণার্থীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান! ◈ সাঁথিয়ায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত অন্তত ১০

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০২৩, ০৯:৩১ সকাল
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০২৩, ০৭:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিরোশিমা-নাগাসাকির বিভীষিকার চেয়ে কতটা ভয়াবহ হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী জার বোমার বিস্ফোরণ ?

লাবিব হোসেন: [২] পারমাণবিক বোমার নাম শুনলে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে ফেলা এটমবোমার ধ্বংসলীলার ছবি ছাড়া আর কিছু কি মনে আসে? রাশিয়ার তৈরি ‘জার’ বোমা যদি কখনো যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় তাহলে হিরোশিমা আর নাগাসাকির বিভীষিকার কথা হয়তো ভুলেই যাবো আমরা। সূত্র : একাত্তর টিভি

[৩] এমন বিধ্বংসী নিউক্লিয়ার বোমা আগে কেউ তৈরি করেনি। একই সঙ্গে ফিশন আর ফিউশন বোমার এমন ভয়ংকর কম্বিনেশন আগে একবারই ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ব্যবহার করেছে বলতে মানুষ মারতে জার বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায়নি। রাশিয়া বোমাটি স্নায়ু যুদ্ধে ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দাপটের জবাব দিতে।

[৪] ১৯৬১ সালে সোভিয়েত বিজ্ঞানীদের মতে আরএসডি ২০২ বোমাটি পরবর্তী কুজকিনা ম্যাট, বিগ আইভান এবং জার বোম্বা নামে, পরিচিত হয়।

[৫] ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফাটানো হাইড্রোজেন বোমার জবাব দিতেই জার বোমার ক্ষমতা দেখায় রাশিয়া।

[৬] প্রথম ডিজাইনে জার বোমাটির ক্ষমতা ৩ হাজার হিরোশিমা এবং নাগাসাকি বোমার সমান করার পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু দেখা গেলো, এত ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা বহনকারী বিমানটি বিষ্ফোরণের পর অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসার পর্যাপ্ত সময় পাবে না হয়তো। তাই বোমাটির ক্ষমতা অর্ধেকে আনা হয়।

[৭] ৫০ মেগাটন টিএনটির শক্তির জার বোমাটির ওজন দাঁড়ায় ২৭ টন। বোমাটির সামনের দিকের মোটা অংশে থাকে গোল একটি নিউক্লিয়ার ফিউশন বোমা। প্লুটোনিয়াসের একটি বলকে বেরিলিয়াম মিরর কেসিংয়ে মুড়িয়ে সেটা আরেকটি কেমিক্যাল এক্সপ্লোসিভ স্ফিয়ারের ভেতর রাখা হয়। যার পাশেই পুরো বোমাটির দৈর্ঘ্য বরাবর একটি হাইড্রোজেন ফিউশন বোমাও থাকে।

[৮] এতে প্লুটোনিয়ামের একটি সিলিন্ডারকে ফিউশন ফুয়েল লিথিয়াম ডিউটোরাইট দিয়ে ঢেকে ইউরেনিয়ামের সিলিন্ডারের ভেতর রাখা হয়। ফিশন বোমা, ফিউশন বোমা আর জার বোমার মাঝের অংশ স্টাইরোফোমে ভরা থাকে।

[৯]  ফিশন বোমার বিষ্ফোরণে সূর্যের কেন্দ্রের চেয়েও বেশি ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি হয়। বিষ্ফোরণে তৈরি এক্স এবং গামা রেডিয়েশনে ষ্টাইরোফোম পরিণত হয় প্লাজমায়। প্লাজমার চাপে-তাপে ফিউশন বোমাটি অ্যাক্টিভেট হয়।

[১০] ফিশন আর ফিউশন রিঅ্যাকশন চলতে থাকে সমান তালে। পুরো ব্যাপারটি ১ সেকেন্ডের ৬০০ বিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ সময়ের মধ্যে হয়ে যায়।

[১১] বিষ্ফোরণের শক ওয়েভে ৮ কি.মি. বড় আগুনের গোল প্রায় ১০০০০ ফুট উপরে উেঠে যায়। বিষ্ফোরণের ধ্বলকানি ১০০০ কি.মি. দূর থেকে দেখো যায়। বিষ্ফোরণে সৃষ্ট মাশরুম ক্লউড মাউন্ট এভারেস্ট এর থেকে ও বড়।  সম্পাদনা: রাশিদ 

এলএইচ/আর/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়