মাজহার মিচেল: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঙ্গলবার দেশের উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপদের জন্য সর্ববৃহৎ আয়োজন বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টের (বিগ) তৃতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দেন। ভারত-সিঙ্গাপুর থেকে বিনিয়োগ এসেছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে সম্ভাবনাময় কোনো উদ্যোগই আর ঝরে পড়বে না ও উদ্যোগ বাস্তবায়নের আর্থিক সঙ্কট ঘুচবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব, ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোল্যুশন সেন্টার, ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার, ৩০০ স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তারাই ভবিষ্যতে একটি জ্ঞানভিত্তিক, অর্থনীতিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্টার্ট-আপ ধীরে ধীরে ওঠে না; রকেটের গতিতে ওঠে। এরই মধ্যে বিকাশ, নগদ ও শপআপ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
দেশের সমস্যাগুলোর প্রযুক্তি নির্ভর সমাধান দিয়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় তরুণ উদ্ভাবকেদের প্রতি আহ্বান জানান পলক।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের মেধার ঘাটতি নেই, তাদের প্রয়োজন সহযোগিতা। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টের মাধ্যমে আমরা সেই সুযোগ করে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ডার প্রেনিউরশিপ অ্যাকাডেমি প্রকল্প চালু ও স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি। এ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে দেশে স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে। পাশাপাশি আগামীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় হাব-এ পরিণত হবে।
তরুণ উদ্ভাবকেরা শুধু দেশের নয় বিশ্বের সমস্যা সমাধান করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
এমএম/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :