হোয়াটসঅ্যাপে এ মেসেজ পপ আপ হলে পড়ার আগেই কেউ সেটি মুছে দিলে হতাশ বা কৌতূহল হওয়া স্বাভাবিক। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বিল্ট-ইন কিছু সুবিধা এবং কিছু বিকল্প পদ্ধতিতে মুছে ফেলা টেক্সট বার্তাগুলো দেখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরলতম ও তুলনায় নিরাপদ পদ্ধতি হলো ফোনের নিজস্ব নোটিফিকেশন হিস্টরি ব্যবহার—কোনও অতিরিক্ত অ্যাপ ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই। তবে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষায় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
নোটিফিকেশন হিস্টরি (অ্যাপ ছাড়াই)
অ্যান্ড্রয়েড ১১ বা এর পরবর্তী ভার্সন ব্যবহারকারীরা ফোনের Settings → Notifications → More settings → Notification history থেকে এই ফিচার অন করতে পারেন। সক্রিয় করলে ফোন আগের ২৪ ঘণ্টার নোটিফিকেশন লগ রাখে; ফলে কেউ মেসেজ ডিলিট করলে সেই টেক্সটটি এখানে দেখা যেতে পারে। লক্ষ্য রাখতে হবে—এই পদ্ধতি কেবল টেক্সট মেসেজের জন্য কার্যকর; ছবি, ভিডিও বা ভয়েস নোট এখানে দেখাবে না।
থার্ড-পার্টি অ্যাপ: সুবিধা আছে, ঝুঁকিও বেশি
গুগল প্লে স্টোরে কিছু থার্ড-পার্টি অ্যাপ মুছে ফেলা WhatsApp মেসেজ পুনরুদ্ধারের দাবি করে। এসব অ্যাপ সাধারণত ফোনের নোটিফিকেশন অ্যাক্সেস নিয়ে কাজ করে এবং আসল সময়ে প্রদর্শিত বার্তাগুলো সংরক্ষণ করে রাখে, ফলে ডিলিট হওয়ার পরও মেসেজ ফুটে ওঠে। তবে ব্যক্তিগত বার্তা-নোটিফিকেশন পর্যন্ত অ্যাপগুলোর অ্যাক্সেস পাওয়া যায়—তার মানে ডেভেলপার কীভাবে সেই ডেটা ব্যবহার করবে তা নিশ্চিত করা কঠিন। তাই ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে সন্দেহ থাকলে এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি ব্যবহারই করেন, তবে ডেভেলপার ও রিভিউ ভালোভাবে যাচাই করুন এবং ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
চ্যাট ব্যাকআপ থেকে পুনরুদ্ধার
WhatsApp-এর নিজস্ব ব্যাকআপ সুবিধা (দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক) থেকে মুছে ফেলা বার্তা ফিরিয়ে আনা যায়—তবে শর্ত হলো বার্তাটি ব্যাকআপের আগে পাঠানো বা পাওয়া থাকতে হবে। ব্যাকআপ থেকেই বার্তা ফেরত আনতে হলে WhatsApp আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করে ব্যাকআপ থেকে রিস্টোর করতে হয়। যেহেতু অনেক মেসেজ কয়েক সেকেন্ডে ডিলিট করা হয়, সবসময় ব্যাকআপে পৌঁছায় না—তাতে এ পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা আছে।
পরামর্শ ও সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র মুছে ফেলা টেক্সট জানতে হলে নোটিফিকেশন হিস্টরি সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ বিকল্প। তবে গোপনীয়তা রক্ষার দিক থেকে তৃতীয়-পক্ষ অ্যাপ ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারো ব্যক্তিগত বার্তা ঠিকই দেখার আগ্রহ থাকতে পারে—কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার ও প্রাইভেসি লঙ্ঘনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ