শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পৃথিবীর কেন্দ্র উলটো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে

পৃথিবীর ওপরে কী আছে, তা মানুষ সহজেই দেখতে পারে। কিন্তু ভূগর্ভের গভীরে কেন্দ্র পর্যন্ত যে বিশাল অজানা জগৎ লুকিয়ে আছে, তার সামান্য অংশই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। সম্প্রতি পাওয়া এক নতুন তথ্য এ নিয়ে সাড়া ফেলেছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর উপরিভাগ যে অভিমুখে ঘুরছে, কেন্দ্র ঘুরছে ঠিক তার বিপরীত অভিমুখে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগেই পৃথিবীর কেন্দ্র ঘোরা থামিয়ে দিয়েছিল। তারপর থেকেই এটি ঘুরছে উলটো মুখে। কী হতে পারে এর ফলে? ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কি প্রাণীকুল? প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলেই। খবর এএফপির।

সম্প্রতি নেচার জিওসায়েন্স-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কেন্দ্র একদিকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে। ঘটনাটি ঘটেছে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে। গবেষকদের মতে, বর্তমানে পৃথিবীর কেন্দ্র ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরছে—যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্র হঠাৎ থেমে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এটি উল্টো অভিমুখে ঘুরতে থাকে। সংবাদ সংস্থার খবরে আরও জানা যায়, চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই তথ্য উন্মোচন করেছেন। তাদের মতে, গড়ে প্রতি ৩৫ বছর অন্তর পৃথিবীর কেন্দ্র নিজের ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করতে পারে, যদিও কখনো কখনো এ ব্যবধান ৭০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

প্রথমবার ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণন নিয়ে ধারণা পান। তাদের অনুমান, আবারও ২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণন দিক পরিবর্তিত হতে পারে।

পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া সব ভূমিকম্পের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, ঘূর্ণনের এই পরিবর্তন সম্ভবত দিনের দৈর্ঘ্যরে পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। পৃথিবী নিজের অক্ষে যেভাবে সারাক্ষণ ঘুরে চলেছে, তার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে কেন্দ্রের ঘূর্ণন। কিন্তু ঘটনাটি বড় কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে? এ ঘটনার ফলে জীবকুলের অস্তিত্ব কি বিপন্ন হতে পারে? গবেষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। পৃথিবীর উপরিভাগে এই ঘূর্ণনের প্রভাব টেরও পাওয়া যাবে না। ফলে এই মুহূর্তে জীবকুলের কোনো ভয় নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তবে বিষয়টির ওপর নজর রাখা হবে বলেও তারা জানিয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমস।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়