সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] এক মার্কিন দম্পতি তাদের বাড়ির শৌচাগার ভেঙে সংস্কার করাচ্ছিলেন। এ কাজ করতে গিয়ে শৌচাগারের একটি দেয়াল ভাঙতেই বেরিয়ে আসে এক জোড়া প্রেমের চিঠি। ধারণা করা হচ্ছে, চিঠি দুটি প্রায় একশ’ বছর আগে লেখা হয়েছিল। ম্যাট টেসমার ও ক্যারি টেসমার দম্পতির বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে। সূত্র: সিএনএন
[৩] এ দম্পতি জানান, তারা শৌচাগারের পেছনের দেয়ালের ভেতর থেকে চিঠি ছাড়াও ওষুধের পাত্র, গ্লিসারিন, গোলাপজল, রেজার ব্লেড ও দীর্ঘদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিনিয়াপোলিসের কিছু ব্র্যান্ডের তৈরি প্রসাধনীও পেয়েছেন।তারা বলেন, এসবের মধ্যে সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল সেখানে রক্ষিত দুটি প্রেমের চিঠি। একজন কিশোর দুই কিশোরীর নামে চিঠি দুটি লিখেছে। পত্রলেখকের জায়গায় লেখা জন বি। চিঠি দুটি লেখা হয়েছে হ্যাজেল ও পলিন নামের দুজনকে। চিঠিতে জন বি দুজনের প্রতি তার গভীর অনুরাগের কথা লিখেছে।
[৪] ক্যারি টেসমার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চিঠির কিছু অংশ পড়ার পর তারা বুঝতে পারেন, সেগুলো সম্ভবত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোনো কিশোরের লেখা। তবে ওই দম্পতি বলেন, জন বি নামের এই পত্রলেখক কে হতে পারে, এ নিয়ে দুজনের কথা মনে হচ্ছে তাদের। এ দুজনের একজন হলেন জন পাভলো, যিনি বাড়িটির প্রথম মালিক। গত শতকের বিশ থেকে পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত এই বাড়ি ছিল জন পাভলোর। তার ছেলের নাম ছিল জন। ক্যারি টেসমার বলেন, জন পাভলো যখন এই বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন তখন তার বয়স ছিল প্রায় ১৭ বছর।
[৫] আর দ্বিতীয় যে ব্যক্তিকে ধারণা করা হচ্ছে, তার নাম জন বুক। তার জন্ম গত শতকের ত্রিশের দশকে। ষাটের দশকে যখন ওই ব্যক্তি এই বাড়িতে আসেন, তখন তার বয়স সবে আঠারো হয়েছে। ক্যারি বলেন, তারা বাড়ির চিলেকোঠায় জন বুকের কিছু পুরোনো কাগজ খুঁজে পেয়েছেন। হতে পারে, কিশোর বয়সের স্মৃতিচিহ্ন শৌচাগারের দেয়ালের ভেতের লুকিয়ে রেখিছেলেন জন বুক।
[৬] দেয়ালের এই চিঠির পেছনের গল্পটা জানতে চান ক্যারি। তিনি বলেন, কেন চিঠিগুলো প্রাপককে দেওয়া হয়নি, কেন চিঠির শেষ ঠিকানা শৌচাগার হলো এর নেপথ্য কাহিনি জানতে আগ্রহী তিনি।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :