স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে। পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেটাররা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য এনওসি পাচ্ছেন না। ফলে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নির্ধারিত একাধিক লিগ—বিশেষত বিপিএল—ব্যাপক অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। --- ডেইলি ক্রিকেট
পাকিস্তান দল আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬–এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুন বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজ বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের ‘বিল্ড–আপ’ এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেটি আগামী বছর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও ভারতের যৌথ আয়োজনে হবে।
নিশ্চিত হওয়া গেছে, পাকিস্তানের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এ সময় আন্তর্জাতিক দায়িত্বকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সাধারণত শর্তসাপেক্ষে এনওসি দিয়ে থাকে, তবে প্রয়োজন পড়লে খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে উপস্থিত থাকতে হবে।
সূত্র আরও জানায়, যদি কেউ শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য নির্বাচিত হন, তাহলে তারা বিপিএলসহ কোনো বিদেশি লিগেই একই সময় অংশ নিতে পারবেন না।
এদিকে, বিপিএলের বিভিন্ন দলে ইতোমধ্যে যেসব পাকিস্তানি ক্রিকেটার ড্রাফট হয়েছেন—আবরার আহমেদ, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ নওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান, হুসেইন তালাত, ইহসানউল্লাহ, হায়দার আলি, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, মোহাম্মদ আখলাক, সাইম আয়ুব ও মোহাম্মদ আমির—তাদের অংশগ্রহণ এখন চরম অনিশ্চয়তায়।
অন্যদিকে, ফখর জমান, নাসিম শাহ ও হাসান নওয়াজ আইএলটি–টোয়েন্টি লিগের জন্য এনওসি পেয়েছেন, তবে এর মেয়াদ ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর বিগ ব্যাশ লিগ এর জন্য এনওসি দেওয়া হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ফলে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, শাদাব খান ও হাসান আলীর অংশগ্রহণ নির্ভর করবে জাতীয় দল নির্বাচনের ওপর।