মুসবা তিন্নি: [২] বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক কীট হিসেবে পরিচিত লাল পিঁপড়া। এটি অগ্নিপিঁপড়া বা আগুনে পিঁপড়া নামেও পরিচিত। লাল অগ্নিপিঁপড়ার কামড়ে, মানুষ এবং প্রাণী উভয়ই মারাত্মক আহত হতে পারে। সম্প্রতি এরা ইতালিতে বাসা বেঁধেছে। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, জলবায়ু আরও বেশি উষ্ণ হলে এরা গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান, সাইন্স, ইয়ন
[৩] শুধু মানুষ এবং প্রাণী নয়, কৃষকের ফসল ধ্বংস করা ছাড়াও এয়ারকন্ডিশনার, ট্রান্সফরমার এবং সার্কিটব্রেকারগুলোর মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও নিমেষেই অকেজো করে দিতে পারে এই ভয়ংকর লাল পিঁপড়া। গবেষকরা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে এই পিঁপড়ার দেখা এখনো না মিললেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
[৪] অগ্নিপিঁপড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ‘সোলেনোপসিস ইনভিক্টা’। এদের মূলত দক্ষিণ আমেরিকার জলাভূমিগুলোতে দেখা যায়। তবে বাতাসের প্রবাহ এবং পণ্যবাহী জাহাজে চড়ে এরা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বলে গবেষকরা জানান।
[৫] এক শতাব্দীরও কম সময়ে এই পিঁপড়া অস্ট্রেলিয়া, চীন, ক্যারিবিয়ান, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের ঘর তৈরি করতে পেরেছে বলে জানা যায়। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এই প্রজাতির আগ্রাসনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে অনুমান করা হয়।
[৬] স্প্যানিশ ইনস্টিটিউট ডি বায়োলজিয়া ইভোলুটিভার গবেষক মাতিয়া মেনচেত্তির বলেন, লাল আগুনে পিঁপড়াটি এখন ইতালিতে নিজেদের আবাস গড়েছে, যা শুধুই সময়ের ব্যাপার ছিল।
[৭] তিনি বলেন, লাল আগুনে পিঁপড়ার বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এস ইনভিক্টা হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আক্রমণকারী প্রজাতির একটি। এটি উদ্বেগজনকভাবে খুব দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এমটি/আইকে/এনএইচ