শিরোনাম
◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ  ◈ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার অভিযুক্ত টিনা ◈ রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই! ◈ যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হারোপ ড্রোনের বিশেষত্ব কী? (ভিডিও) ◈ এখানে আরেকটা বেয়াদব আছে, সে শহীদ ফ্যামিলিকে ননসেন্স বলেছে: সংবাদ সম্মেলনেই শহীদ ইয়ামিনের বাবা(ভিডিও) ◈ দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি, জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ◈ ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব, সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ: উপদেষ্টা মাহফুজ ◈ পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস! ◈ জুমার নামাজের পর বড় কর্মসূচির ঘোষণা হাসনাতের, উত্তাল যমুনা, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ ◈ যমুনার সামনে এখনো চলছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২৩, ০৪:০৭ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৩, ০৪:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জন্ম থেকে জ্বলছি 

আনোয়ার হক

আনোয়ার হক: পেশাগত কারণে টেলিফোন আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক অনুসঙ্গ। যখন যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ টেলিফোন সুবিধা কাজে লাগিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় ল্যান্ডফোনের পাশাপাশি সিটিসেলের সিডিএমএ মোবাইল এবং তারপর জিএসএম সিমের গ্রামীণ ফোন ব্যবহার শুরু করি।

আমি গ্রামীণ ফোন কোম্পানির যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করে আসছি সেটির জন্ম ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে। একই সময়ে জন্ম নেয়া আরেকটি নম্বর ব্যবহার করেন দেশের সংস্কৃতি জগতের একজন বিখ্যাত মানুষ। দু'টি নম্বরের মধ্যে পার্থক্য শেষের দু'টি ডিজিটের ক্রমবিন্যাস। ধরা যাক আমারটা ৫৬ হলে তাঁরটা ৬৫। আপনারা হয়তো ভাবছেন তাতে কী! এটা নিয়ে লেখালেখির কি আছে? এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরী বিষয় নাকি? আপনারা তেমন করে ভাবতেই পারেন। কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার তো বলেই গেছেন: কী যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।

এবার আমার যাতনার কথা শুনুন।

সেই বিখ্যাত সংস্কৃতজনের অসংখ্য শিষ্য শিষ্যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের দেশে আর বিদেশের সংস্কৃতি পরিমণ্ডলের আনাচে-কানাচে। শিষ্য শিষ্যারা তাদের ওস্তাদজীর কাছে বিভিন্ন প্রয়োজনে ফোন করবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে ওস্তাদজীর কাছে শিষ্য শিষ্যাদের চেয়ে তাদের মায়েরাই ফোন করেন বেশি। 

আপনারা প্রশ্ন করতেই পারেন তাতে আমার সমস্যা কী? 

সমস্যা তো আমারই। যারা ফোন করেন, নাম্বার ডায়াল করার সময় খুব সজাগ বা সতর্কতার সাথে কি দেখেন ওস্তাদজীর নাম্বারের ক্রমবিন্যাস আমার নাম্বারের মতো সরল নয়। ফলে যে ঘটনাটি ঘটতো সেটি হলো ওস্তাদজীর কাছে করা ফোন কলটি অবধারিতভাবেই আমার মোবাইলে চলে আসতো। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন ছিল না। বেশিরভাগই কলারই ডায়াল করতেন ল্যন্ডফোন থেকে। এছাড়া অনেক সেলিব্রিটিও ফোন করেন সৌজন্যমূলক শুভেচ্ছা বিনিময়ে কিম্বা কাজের প্রয়োজনে।

যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে একদিন সেই ওস্তাদজীকে ফোন করলাম এবং সবিস্তারে ঘটনা বর্ণনা করলাম। ভদ্রলোক বেশ কয়েকবার সরি, দুঃখিত ইত্যাদি বলে সৌজন্য প্রকাশ করলেন। সাথে এও বললেন যে সবাইকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন যাতে আমার যন্ত্রণা লাঘব হয়। তিনি যথেষ্ট দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। বাড়তি ফলাফল হিসাবে তাঁর সাথে একটি সৌজন্যমূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমার।

তারপরও পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি। এখনও মাঝেমধ্যে ফোন আসে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়