শিরোনাম
◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে? ◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:১১ দুপুর
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জমি কিনে বিপাকে ৩৫ পরিবার

নাটোর সদর উপজেলার ফুলসর গ্রাম

নিউজ ডেস্ক: নাটোর সদর উপজেলার ফুলসর গ্রামে জমি কিনেও ভিটেমাটি হারাতে বসেছেন প্রায় ৩৫টি পরিবার। এসব পরিবারের ৫০ বছর আগে কেনা প্রায় ৪৫ বিঘা জমি জমি দখলে নিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। আর টিভি 

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শতাধিক গ্রামবাসী ও জমির মালিকরা। সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, তথ্য গোপন এবং জমি খাস খতিয়ানভুক্তের বিষয়টি তারা জানতেন না। প্রায় ৫০ বছরে সরকার কখনো এসব জমির মালিকানা দাবি করেননি। এখন ফুলসর গ্রামের মানুষেরা ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ১৯৭৮ সালে এসব জমি সরকারের নামে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়।

ফুলসর গ্রামে রাস্তার পাশে সিমেন্ট ও রডের স্তূপ। পাশের একটি খোলা জায়গায় একদল শ্রমিক পাকাঘর নির্মাণ করছেন। আর নাটোর সদরের এসি ল্যান্ড জুবায়ের হাবিবের নির্দেশে, রাস্তার পাশের জমির প্রায় ৩০টি বড় আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে জানায় গ্রামবাসীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান আলী মিয়া, ভিটেমাটি হারানো শরবানু বেওয়া, লিয়াকত হোসেন, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, অছির উদ্দিন ও ময়েন উদ্দিনসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

শাজাহান আলী মিয়া বলেন, ফুলসর মৌজার ৬ নম্বর খতিয়ানের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমির হাল খতিয়ানের (আরএস রেকর্ড) মালিক ছিলেন অপর্ণা দেবী। তিনি ওই জমি আব্দুল লতিফ, আব্দুল হাই ও আব্দুল রউফের কাছে বিক্রি করেন। তাদের কাছ থেকে জমি কিনে গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস ও চাষাবাদ শুরু করে ৩৫ পরিবার। ৫০ বছর ধরে তারা ওই জমি ভোগদখল করছেন। অনেকে বসবাসের জন্য পাকাবাড়ি ও ফলের বাগান করেছেন।

নাটোর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হাবিব বলেন, তৎকালীন রাষ্ট্রপতির ১৯৭২/৯৮ নম্বর আদেশে ১০০ বিঘার অতিরিক্ত জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী, ফুলসর গ্রামের অপর্ণা দেবীর স্বামী কালিচন্দ্র চক্রবর্তী তার পরিবারের ১০০ বিঘার অতিরিক্ত ৩৬ একর জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে ফিরিয়ে দেন।  ১৯৭৮ সালের ২২ জুলাই ওই জমি সরকারের নামে খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। এখন রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সরকার এসব জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করেছেন। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছুই করব না।

এসএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়