শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় এডিবি : কান্ট্রি ডিরেক্টর ◈ ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি দুঃখজনক, ভারতের ভাবমূর্তির জন্য লজ্জার: বি‌সিসিআই ◈ চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বিদেশি অপারেটর নিয়োগে সমালোচনার ঝড় ◈ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো দেশে এলো আমদানি করা প্রায় ৫৭ হাজার টন গম ◈ ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, ব্যর্থ হলে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে: প্রধান বিচারপতি ◈ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে: তারেক রহমান ◈ দুই দশক পর ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক, নতুন সম্ভাবনায় আশাবাদ দুই দেশ ◈ ফজরের পর কবরস্থানে দেখা গেল গা শিউরে ওঠা দৃশ্য! (ভিডিও) ◈ মিছিলে ডামি রাইফেল উঁচিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, এরপর যা ঘটল (ভিডিও) ◈ রো‌হিত ও কোহলির ব‌্যা‌টে অ‌স্ট্রেলিয়ার বিরু‌দ্ধে জয় পে‌য়ে হোয়াইটওয়াশ এড়া‌লো ভারত

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো!

এই তালিকায় স্থান পাওয়া উত্তর গোলার্ধের একমাত্র দেশ আইসল্যান্ড। ছবি: পেক্সেলস

দ্য গার্ডিয়ান, রিস্ক অ্যানালাইসিস: আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। তবে হ্যাঁ পারমাণবিক মহাপ্রলয় এলে বেঁচে থাকার জন্য কোন দেশগুলো সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে—এ সম্পর্কে জেনে রাখাই যায়।

রিস্ক এনালাইসিস নামক একটি জার্নাল সম্প্রতি জানিয়েছে একটি গবেষণার ফলাফল। তারা সেখানে কিছু দ্বীপ দেশকে চিহ্নিত করেছে—যা পারমাণবিক যুদ্ধ, সুপার আগ্নেয়গিরি বা গ্রহাণুর আঘাতের মতো ‘সূর্যালোক হঠাৎ হ্রাসকারী বিপর্যয়’-এর পরেও তাদের জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন চালিয়ে যেতে সক্ষম।

পারমাণবিক যুদ্ধের উদ্বেগ ও ভয়াবহ পরিণতি

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু এবং পরবর্তী ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের ভয় তৈরি হয়েছে ব্যাপকভাবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, একটি পারমাণবিক সংঘাত মানবতা এবং গ্রহের জন্য কী পরিণতি নিয়ে আসবে।

বিপর্যয়কর পরিণতি: একটি পারমাণবিক সংঘাতের সরাসরি বিস্ফোরণে প্রাথমিক মৃত্যু থেকে শুরু করে বিকিরণের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পর্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।

ব্যাপক প্রযুক্তিগত পতন: এমনকি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়, এমন স্থানগুলোতেও প্রযুক্তির পতন ঘটবে। এটি সহযোগিতা, সমন্বয় এবং স্থিতিস্থাপক খাদ্য উৎপাদনে মারাত্মকভাবে বাধা দেবে।

দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ফল: ৬৩ শতাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। রাটগার্স ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা অনুসারে, একটি পূর্ণমাত্রার পারমাণবিক যুদ্ধের পরে পাঁচ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যাবে। যা বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশ।

খাদ্য উৎপাদন হ্রাস: পারমাণবিক যুদ্ধে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য উৎপাদন ৯৭ শতাংশ হ্রাস হবে।

বেঁচে থাকা মানুষ: সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বিশ্বজুড়ে বেঁচে যাওয়া মানুষ থাকবে বলে মনে করা হয়।

বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে স্থিতিস্থাপক দেশ

'রিস্ক অ্যানালাইসিস'-এ প্রকাশিত গবেষণাটি ৩৮টি দ্বীপ দেশকে ১৩টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তুলনা করেছে। এই দেশগুলো একটি মহাপ্রলয়ের পরের বেঁচে থাকার রাজ্যের সাফল্যের পূর্বাভাস দিতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্য উৎপাদন, শক্তির স্বয়ংসম্পূর্ণতা, উৎপাদন এবং জলবায়ুর ওপর বিপর্যয়ের প্রভাব। সূর্যালোক হঠাৎ হ্রাসকারী বিপর্যয়ের পরেও এই দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

বেঁচে থাকার সম্ভাবনার ভিত্তিতে দেশের তালিকা

অস্ট্রেলিয়া: এই তালিকায় প্রথমেই আছে অস্ট্রেলিয়া। খাদ্য সরবরাহের বিশাল বাফার এই দেশটি। এখানে আছে কোটি কোটি অতিরিক্ত মানুষকে খাওয়ানোর সম্ভাবনা। ভালো অবকাঠামো, বিশাল শক্তির উদ্বৃত্ত, উচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা বাজেট দেশটিকে সম্ভাবনাময় করে তোলে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক এই দেশটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

নিউজিল্যান্ড: তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু থেকে দূরত্ব এবং দীর্ঘস্থায়ী পারমাণবিক-মুক্ত মর্যাদা এ দেশটিকে সুরক্ষিত রাখবে। একে চরম তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করে সমুদ্রের নৈকট্য। কার্যকর খাদ্য রপ্তানি অর্থনীতি তাদের জনসংখ্যাকে একাধিকবার খাওয়াতে পারে। এমনকি ফসলের ৬১ শতাংশ হ্রাস হলেও সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য থাকবে।

আইসল্যান্ড: এই তালিকায় স্থান পাওয়া উত্তর গোলার্ধের একমাত্র দেশ আইসল্যান্ড। দেশটির দূরত্বের কারণে সবচেয়ে পারমাণবিক যুদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে একটি নিরাপদ দেশ। তবে ছোট অর্থনীতির কারণে এটি আমদানিকৃত পণ্য এবং অবকাঠামো পতনে ভুগতে পারে।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু: তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভূগোল এবং সাধারণ সময়ে প্রচুর খাদ্য উৎপাদন দেশটিকে সুরক্ষিত রাখে। উচ্চপ্রযুক্তিগত উৎপাদন ও জ্ঞান অর্থনীতির অভাব দেশগুলোর পুনরুদ্ধার কঠিন করে তুলবে। তবে, প্রতিবেশী বেঁচে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে তারা বাণিজ্যে অংশ নিতে পারে।

অন্যান্য দেশ: এরপরেই আছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মরিশাস। পারমাণবিক যুদ্ধের পরে তাদের জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা। দুর্নীতি এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস তাদের স্থিতিস্থাপকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়