মাকসুদ রহমান: করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটার জহির আব্বাস। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয় ইংল্যান্ডের সেন্ট ম্যারিস হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে তাকে অক্সিজেন সার্পোটে রাখা হলেও পরে শারীরিক অবস্থান আরো অবনতি গঠলে তাকে ইমারজেন্সি কেয়ার ইউনিটে ( আইসিইউ) স্থানান্তরিত করা হয়। ক্রিকবাজ
ধারণা করা হচ্ছে দুবাই থেতে লন্ডন যাবার পথেই জহির আব্বাস করোনায় আক্রান্ত হন। দুবাই থেকে লন্ডনে যাওয়ার পর তিনি কিডনিতে ব্যাথা অনুভব করলে প্রাথমিক পরীক্ষায় তার নিউমোনিয়াও ধরা পরে। সেজন্য পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের ডায়ালাইসিসও করা হয়।
পরিবারের পক্ষ জহির আব্বাসের আরোগ্যের জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে সাবেক এই কিংবদন্তী ব্যাটারের সঙ্গে হাসপাতালে কোন গণমাধ্যম কর্মীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
১৯৬৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর পাকিস্তানের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন জহির আব্বাস। টেস্ট ক্রিকেটে ৭৮ খেলায় ১২৪ ইনিংসে ৪৪ দশমিক ৮ গড়ে ১২টি শতক যার ৪টিকে তিনি পরিণত করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরিতে ও ২০টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫০৬২ রান করেন জহির তবে তার স্ট্রাইরেট ছিল ৭২ দশমিক ৯৯। যা টেস্টে ক্রিকেটে তৎকালীন অন্য যে কোন ব্যাটারের চেয়ে অনেক বেশি। আর একদিনের ক্রিকেটে ৬২ খেলায় ৪৭ দশমিক ৬৩ গড়ে ৩০৩৩ রান করেন তিনি। ক্রিকেটের এই ফরম্যাচে ৭টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১৩ হাফসেঞ্চুরিও আছে তার।
এছাড়াও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে একমাত্র এশিয়ান ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা জহির আব্বাসকে এশিয়ান ব্র্যাডম্যান হিসেবেও ডাকা হয়। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার মোট রানের সংখ্যা ৩৫ হাজারের উপরে।