স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী ৫ অক্টোবর ভারতে পর্দা উঠবে ২০২৩ আইসিসি পুরুষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের। আসছে ১৯ নভেম্বর টাইটেল নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে সমাপ্ত হবে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের। এই ক্রিকেট মহাযজ্ঞে অংশ নেবে মোট ১০ দল।
সাধারণত, অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে প্রচুর পরিমাণে শিশির পড়ে। এতে মাঠের আউটফিল্ড ফাস্ট হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন বোলাররা। আর সুবিধা পান ব্যাটাররা।
তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল অনেকটা সুবিধা পায়। ইতোমধ্যে এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি। পিচ কিউরেটরদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা, মাঠে বেশি ঘাস রাখতে হবে। মূলত, রাতে ভারতের আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। ফলে ভারতীয় উইকেটে স্পিন বেশি হয়। এতে ম্যাচে স্পিনাররা বড় ভূমিকা রাখে।
তবে বিশ্বকাপ ঘিরে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আইসিসি। পিচে বেশি ঘাস রাখতে কিউরেটরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে বেশি সুবিধা পাবে পেসাররা। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের প্রথম একাদশে বেশি পেসার নিয়ে নামবে দলগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, এসময়ে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে বেশি শিশির পড়ে। এছাড়া চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টিও হতে পারে। ফলে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পায়। সেক্ষেত্রে পিচে বেশি ঘাস থাকলে পেসাররা সেটা পাবে। এতে দলগুলো সিমার খেলাতে পছন্দ করবে।
ইতোমধ্যে পিচের প্রকৃতির সম্পর্কে গাইডলাইন দিয়েছে আইসিসি। সেই সঙ্গে মাঠগুলোর বাউন্ডারির ক্ষেত্রেও স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, যেসব স্টেডিয়ামে খেলা হবে, সেগুলোর বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার রাখতে হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে মাঠের বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ৬৫ মিটার থেকে ৮৫ মিটারের মধ্যে রাখতে হয়।
তবে বিশ্বকাপের মাঠগুলোর বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ৭০ থেকে ৭৫ মিটারের মধ্যে রাখতে হবে। বিশেষ করে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এলআরবি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :