শ্রীলংকা সফরে ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার পর; অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে বড় জয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে ফেরে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি পরিণত হয় অঘোষিত ফাইনালে। সেই অঘোষিত ফাইনালে হেরে ওয়ানডে সিরিজ (২-১) হাতছাড়া করে মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই হাল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে আজ সিরিজ হারের শঙ্কা নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। লিটন দাস, শামীম পাটোয়ারী, তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজের ১-১ সমতায় ফেরে টাইগাররা।
রোববার রাঙ্গিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভারে ৭ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই অবস্থা থেকে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৬৯ আর পঞ্চম উইকেটে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে দলকে ১৭৭/৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে দেন লিটন কুমার দাস।
দলের হয়ে ৫০ বলে এক চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে ফেরেন লিটন কুমার দাস। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৭ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন শামীম পাটোয়ারী। ২৫ বলে ৩১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ১২০ বলে ১৭৮ রানের টার্গেট তাড়ায় বাড়তি আত্মবিশ্বাসে থাকা শ্রীলংকা ইনিংসের শুরু থেকে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয় লংকানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ২০ রান করেন সাবেক অধিনায়ক দাসুন শানাকা।