মনিরুল ইসলাম: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর পুরান ঢাকায় মাথা থেঁতলে হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে গুলশানের হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বলি—সরকারকে আহ্বান জানাই, এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে শান্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না। জনগণ গণতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়ার এ সময়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অশান্ত করার দায়ে আপনাদের দায়ী করবে।’
"বিএনপি কোনো অন্যায়কে কখনোই সমর্থন করেনি"
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি কখনো কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের বলব—আরো কিছুদিন ধৈর্য ধরুন। সবাইকে নিবৃত্ত রাখুন যেন কেউ অন্যায় কাজ না করে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অতীতেও ভূমিকা রেখেছে, এবারও রাখবে।’
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের দাবি
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে চাই, বাংলাদেশে রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য, দ্রুত নির্বাচন হোক। কারণ গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর গণতন্ত্রের প্রথম ধাপই হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।’
শহীদদের স্মরণ ও পুনর্বাসনের দাবি
আলোচনায় ছাত্রদলের আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণে একটি পুস্তক প্রকাশের পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে শহীদদের যথাযথ সম্মান দেবে।’
তিনি আবারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান—জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সদস্য, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
