স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে নিরাপপত্তাজনিত কারণে সে দেশে খেলতে যাবে না ভারত। বোর্ড অব কন্ট্রোলের চাওয়া ‘হাইব্রিড’ মডেলের মিনি বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণ করতে শুক্রবার আলোচনায় বসার কথা ছিল আইসিসি, ভারত ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের। যদিও সেই সভা ১৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে প- হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফো। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২ দেশের প্রতিনিধি, তিনটি সহযোগী দেশের স্যদস্যরা। তবে সেখানে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
জানা গেছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। প্রাথমিকভাবে পিসিবি, বিসিসিআই ও আইসিসির কর্মকর্তারা বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান যেখানে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের সরকার অনুমোদন করবে।
আইসিসির হাতে এখন তিনটি পথ খোলা আছে। এর মধ্যে একটি হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা। যেখানে ভারত তাদের ম্যাচগুলো অন্য কোনো বিকল্প ভেন্যুতে খেলবে। অন্যথায় ভারতকে বাদ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে হবে।
আরেকটি বিকল্প সিদ্ধান্ত হতে পারে পাকিস্তানকে আয়োজক রেখে পুরো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরিয়ে নেয়া। তবে আইসিসি ভারতকে বাদ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চিন্তা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া হাইব্রিড মডেলের বিপক্ষে অনেক আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান।
প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ানোর কথা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। টুর্নামেন্ট আয়োজনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজেদের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে পাকিস্তান। এমনকি করাচি, লাহোর কিংবা রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলো সংস্কারও করছে তারা। তবে টুর্নামেন্টে শুরুর বছরখানেক আগে থেকেই শঙ্কা ছিল ভারতের পাকিস্তানে না যাওয়ার।
সবশেষ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে যেতে অনীহা দেখিয়েছিল ভারত। ফলে শ্রীলঙ্কাকে সহ-আয়োজক হিসেবে নিয়ে ২০২৩ এশিয়া কাপ আয়োজন করতে হয়েছিল পিসিবিকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও এমনটা শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কাই সত্যি হয়েছে। কিছুদিন আগে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আইসিসিকে জানানো হয়েছে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না তারা।
আপনার মতামত লিখুন :