শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৭:০৯ বিকাল
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৭:০৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দোলনে না এলে পরে আক্ষেপ করতে হবে: নজরুল ইসলাম খান

আমিনুল ইসলাম: [২] জনগণকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এ সরকারবিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, একটা ফ্যাসিস্ট শাসক থেকে মুক্ত হওয়ার যে লড়াই, সে লড়াইয়ে যুক্ত হতে যাদের বয়স আছে, যাদের সুযোগ আছে, যাদের সক্ষমতা আছে, তারা যদি যুক্ত না হয়, তাহলে একসময় আক্ষেপ করতে হবে। কারণ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি গৌরবজ্জল সময় আমাদের সামনে এসেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে আজ বিএনপি, জামায়াত, বাম-ডান, ইসলামী আন্দোলন এবং কমিউনিস্টসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
 
[৩] মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিদ্যমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সাথে জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম।

[৪] নজরুল ইসলাম খান বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন নয়। আমরা রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য যদি ঠিক থাকে, তাহলে সমস্যা সমাধান করা কঠিন কিছু না।

[৫] বিএনপির এ নেতা বলেন, একদিক থেকে সরকারকে ধন্যবাদ দিতে পারেন। তাদের জুলুম অত্যাচার-নিপীড়ন ডাম-বাম. কমিউনিস্ট, ইসলামীক সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ্য করে ফেলেছে। আমরা আজ সবাই মজলুম। নিপীড়িতের ঐক্য আমরা দেখছি। আজ আমাদের মধ্যে যে আকাক্সক্ষার সঞ্চার পীর সাহেব করলেন, এটা পূরণের ও পালন করার উদ্যোগ নিতে হবে।

[৬] লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভয়ের কিছু নাই। একদমই ভয়ের কিছু নাই। আমরা আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহ যতদিন না নেবেন, তার আগ পর্যন্ত নেয়ার কোনো ক্ষমতা নাই কারো। যুদ্ধে যেতে হবে। অন্যায়কে পরাভূত করতে হবে। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এ সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, বিজয়ী হওয়া এবং জনগণের কাক্সিক্ষত বিজয় নিশ্চিত করা।

[৭] তিনি আরো বলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না করলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে একথা ঠিক নয়। সংবিধান অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রী ২৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে যেয়ে  বলবেন সংবিধান ভেঙ্গে দেন। রাষ্ট্রপতি তখন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

[৮] বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কস পার্টির সাধারণ সম্পাদক স্ইাফুল হক বলেন, গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার হরণ করে সরকার লুটপাট, দূর্ণীতি ও অবিচার এবং জুলুমুর রাজত্ব কায়েম করেছে। ইসলামী আন্দোলন সংলাপের মাধ্যমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হাজির করেছে। এতে মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। তারা মানুষের আকাঙ্খাকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে ধাক্কা দিতে হবে। কারণ তারা নির্বাচনের নামে প্রহসন করছেন। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার জন্য প্রত্যেকটি আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়ার পাশাপাশি ডামি প্রার্থী দিচ্ছে। আর আমাদের হাত পা বেধে দিয়ে নির্বাচনী মাঠে দৌড়ের আহবান জানাচ্ছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়