আর হাসান: [২] জাপার একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেকমন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মানে মানে বিদায় হোন। দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন। গণতন্ত্রকে মুক্তি দেন। নতুবা দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
[৩] শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে এক গণ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] সমাবেশে জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতার পথকে নিষ্কন্ঠক করার হীনউদ্দেশ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশি রায়ে কারাদণ্ড দিয়েছে। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তিন তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
[৫] নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চাপ শেখ হাসিনার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণ দেখাচ্ছেন তা জাতির জন্য লজ্জাজনক ও অবমাননাকর।
[৬] সেলফি নাটক ও আবারো পাতানো নির্বাচনের পায়তারার তীব্র সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে শেখ হাসিনার আমেরিকা ভীতি আর আমেরিকা প্রীতির দ্বৈত ভূমিকা সবাইকে অবাক করার মতো। উনি একবার বলেন, আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই। তারপরে বিশাল বহর নিয়ে আমেরিকা গিয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান ও লবিং করে আমেরিকার আশীর্বাদ লাভের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
[৭] জাপার যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীম এবং এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আরএইচ/টিএবি/একে