শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি মিলবে- এ ব্যাপারে আশাবাদী তার পরিবার ও বিএনপি।
[৩] খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, অনুমতি পাওয়ামাত্রই যাতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নেওয়া যায়, এজন্য তারা হাসপাতালগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছেন। পরিবারের পছন্দ জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের কোনো হাসপাতাল।
[৪] ইতোমধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে নিযুক্ত জামার্ন চার্জ ডি অ্যাফির্য়াসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। জামার্ন দূতাবাস থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
[৫] বিএনপি চেয়ারপারসন এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরেই তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে।
[৬] বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, তার সামগ্রিক অবস্থা জটিল থেকে আরো জটিলতর হচ্ছে। লিভার সিরোসিসের কারণে তার হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। তিনি কখনো কিছুটা ভালো থাকছেন, পরক্ষণেই তার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এখানে দেওয়ার মত আর কোনো চিকিৎসা আমাদের নেই। তার লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া বিকল্প নেই। এই ধরনের চিকিৎসা যেসব দেশে সবচেয়ে ভালো হয় তার মধ্যে অন্যতম জার্মানি।
[৭] গত সোমবার বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি এখন যাচাই বাছায়ের জন্য আইনমন্ত্রণালয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকায় অনুমতির বিষয়টি আটকে আছে। তবে পরিবারের সদস্যরা আশাবাদী, অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি মিলতে পারে।
[৮] এদিকে বেগম জিয়াকে জার্মানি নেওয়া হতে পারে, এমন খবরে সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তুতি নিয়েছেন সেখানকার বিএনপি নেতা-কর্মীরা। জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া জানান, জার্মানিতে ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হতে পারে বলে জানতে পেরেছি। আমরা খুবই খুশি। ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে আসলে তার যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তার সবই করতে আমরা প্রস্তুত। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :