আমিনুল ইসলাম: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জামায়াত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সুশৃঙ্খল আদর্শিক দল। সোনার বাংলাদেশ ও সোনার নাগরিক তৈরির কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। যে কারণে কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, মাদক, বা নারী কেলেংকারির ঘটনায় জামায়াত কিংবা ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মীর নাম আসে না। কারণ জামায়াত ও শিবির মডেল সোনার মানুষ তৈরি করে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তন ও চত্বরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং বৃষ্টিতে ভিজে নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নেন।
আব্দুল্লাহ মো. তাহের আরো বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে। লজ্জা তো ঈমানের অঙ্গ। কিছুটা তো লজ্জা থাকা উচিত নেতাদের। আজকে দেশের শাসক ও মানুষ সৎ হলে দাতা দেশ হতাম। কিন্তু সেটা করতে পারিনি। আপনারা না পারলে আমাদের সহযোগিতা করুন। তাহলেই দেশের পরিবর্তন হবে।
জামায়াতের সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি জানিয়ে আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, অচিরেই জামায়াতের সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবিসহ একটি নৈতিকতাসম্পন্ন ও বাসযোগ্য দেশ তৈরির জন্য সকলের প্রতি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। তিনি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া ও শেষ পর্যন্ত সহায়তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। জামায়াত কখনো বিশৃঙ্খলা করেনি, করে না এবং করবে না। যদি হয় সেটা কেউ বাইরে থেকে করতে পারে, স্যাবোটেজ।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
ব্রিগেডিয়ার আমান আযমী, ব্যারিস্টার আরমানকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মী এবং আলেমের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন এক ডজনেরও বেশি নেতৃবৃন্দ। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এআই/এসএইচবি/এনএইচ