মাছুম বিল্লাহ: ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেওয়া বিষয়ে আসামের গৌহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে এই ট্রাভেল পাসের বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ মিশন এখনো তাকে কিছু জানায়নি বলে আমাদের সময় ডটকমকে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমি গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি এই খবরটি। এখন আমি গৌহাটি হাইকমিশনে খোঁজ নিবো। এরপর ট্রাভেল পাস হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবো কবে দেশে ফিরবো।
ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় পর দেশে ফেরার জন্য গুয়াহাটির বাংলাদেশ মিশনে ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেন বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং অবস্থান করা বিএনপির এই নেতা।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি উইংয়ের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম সাপ্তাহিক বিফিংয়ে জানান, ‘বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের দেশে ফেরার আবেদন মঞ্জুর করেছে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।’
সালাউদ্দিন কবে দেশে ফিরতে পারেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তার ওপর নির্ভর করবে। তিনি যেকোনো সময় আসতে পারবেন।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সে সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির, ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর ভারতের মেঘালয়ের শিলং শহরে তাকে উদ্ধার করে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ২৬ অক্টোবর নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এমবি/এসবি/এসবি২