শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২৩, ০৭:০৯ বিকাল
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২৩, ০৩:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘সরকারের লুটপাট ও ভিন্ন পথে হাঁটার জন্যই আজকের এই বিদ্যুৎ সংকট’

সোহাগ হাসান: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেছিলেন সরকার সে পথে না হেঁটে বৃহৎ এই সেক্টরে আত্মীয়স্বজন নিয়ে লুটপাটের জন্য ভিন্ন পথে হাঁটলো। তার ফলেই আজ দেশে বিদ্যুৎসংকট। এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অনেক কিন্তু সেইটা চালানোর মতো সামর্থ্য নেই।

এখন জ্বালানি কেনার পয়সা নেই, কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ কিন্তু ঠিকই দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিদেশি ডলারেও ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এমন একটা ব্যবস্থা চালু করলেন যে, কয়লা কেনার পয়সা নাই কিন্তু বসিয়ে রেখে অনেককে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। টাকা যেখানে ব্যয় করা দরকার সেখানে ব্যয় না করে অন্য জায়গায় ব্যয় করা হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি এই বিদ্যুৎ সংকটের সকল দায় সরকারের, তার বিদ্যুৎ নীতির ও তাদের লুটপাটের।

সোমবার সকালে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে রংপুরগামী রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ শহরের কুটুমবাড়ি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললেন আজ বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, দেশের মানুষ বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে কষ্টে আছে। কিন্তুএই কষ্ট লাঘবের চিন্তা কিন্তু তার নেই। তিনি ডলার সংকটের কথা বলেন কিন্তু বড় বড় প্রকল্পের ব্যয় কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না। বড় প্রকল্পে ব্যয় করার জন্য ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট, এরমধ্যে কিন্তু ২ লাখ ৭১ হাজার টাকাই তারা ঋণ নেবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে বাজারে ঢোকাচ্ছেন, এর ফলাফল হচ্ছে দ্রব্যমূল্য আবারও বেড়ে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। তিনি(প্রধানমন্ত্রী) মানুষের কষ্টের কথা বললেও মানুষের কষ্টের মূল কারণ যে তিনি, তার নীতি সেটার দিকে তিনি তাকাচ্ছেন না। তারা মিথ্যা কথা বলে,মানুষকে বিভ্রান্তি করে।

গণতন্ত্র মঞ্চের মূল দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের সাংবিধানিক কাঠামো লাগবে, সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করে সংসদ,বিচার বিভাগ, সরকার ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠা। সবগুলো আইনমতে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করে এমন জায়গা দিতে হবে যাতে আর কেও নিজের জমিদারি বানিয়ে সবকিছু নিজের পকেটে না রাখতে পারে।

তিনি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন চলছে, বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে। আমাদের লক্ষ্য এমন সরকার ব্যবস্থা হবে যে, সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে, মানুষের ন্যায্যতা নিশ্চিত হবে।

সাকি পুলিশের কৌশলী ভূমিকা নিয়ে বলেন, তারা আমাদের বুঝাচ্ছে আপনারা সকল কার্যক্রম চালান সমস্যা নেই, কিন্তু এটাও বুঝাচ্ছে চাপ থাকার কারণে তারা কিছু করতে পারছে না। তারা বাধা কিন্তু আমাদের ঠিকই দিচ্ছে। আমরা সমাবেশের জন্য রংপুর টাউন হল চাইলাম কিন্তু টাউন হল ফাঁকা থাকার পরেও তারা আমাদেরকে দিলেন না। পরে বলছেন সেখানে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম আছে। এটাও তাদের একটা কৌশলী ভূমিকা। আমরা টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানীর সমাধিতে প্রোগ্রাম করতে যাব। সেখানেও তাদের পক্ষ থেকে নানান রকম কথা বলা হলো।

তারা বাধা না দিলেও বলা হচ্ছিল, ছাত্রলীগ-যুবলীগ মহড়া দিচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আমরা সিরাজগঞ্জ শহরে প্রোগ্রাম করার জন্য অনুমতি চাইলেও পুলিশ আমাদের সেটাও দিলেন না। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমরা রোডমার্চে বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। টাঙ্গাইলেও হয়েছি,সিরাজগঞ্জেও হলো। তারা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না, তারা বাধা তৈরি করছে।

সরকার এতটাই জনবিচ্ছিন্ন, বেসামাল ও এতটাই অস্থির, এতটাই তারা আতংকের মধ্যে আছেন যে, কোন গণতন্ত্র মঞ্চের মতো সবারই একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ,শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ, শান্তিপূর্ণ অবস্থান তারা করতে দিতে চান না।

সরকার এখন শেষ দিনগুলো পার করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট্ট একটা সমাবেশ দেখলেই মনে করেন এই বুঝি বোমা পড়ল, ছোট্ট একটা মিছিল দেখে মনে করেন, লাখ লাখ মানুষ বুঝি বেরিয়ে গেল। এতটাই তাদের আতংক। তারা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ সরকারের পরিবর্তন চায়, শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। পাশাপাশি আইন ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল কিছুর সংস্কার করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, সিরাজগঞ্জ জেলা নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক নুর হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

প্রতিনিধি/এসএইচবি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়