আমিনুল ইসলাম: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ‘বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে ‘আওয়ামী লীগ প্লাস’। আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ সবাই। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক শিক্ষিত ও মার্জিত নেতা যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে বিচার বিভাগও আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা এতটাই শক্তিশালী যে, আওয়ামী লীগ প্লাসের নির্দেশনা মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। কেউ না মানলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনও আওয়ামী লীগ প্লাসের সদস্য হয়েছে। এতে দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা কারোই নেই।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে কাঠামোতে বাকশাল তৈরি করা হয়েছিল, ঠিক তেমন করেই আওয়ামী লীগ প্লাস সৃষ্টি করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্লাস আইনগতভাবে করা হয়নি। যেমন বাকশালের জন্য কিছু আইন করা হয়েছিল, যা আওয়ামী লীগ প্লাসের জন্য নেই। তারা যাকে যেখানে কাজ করতে বলবেন, সে সেখানেই কাজ করবেন। এভাবেই আওয়ামী লীগ প্লাস একটি দল দাঁড়িয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা যিনি বলেছেন, তিনি উচ্চ শিক্ষিত এবং ঠান্ডা মাথায় বলেছেন।’
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখন সব কিছুই আওয়ামী লীগ প্লাস বা সেই দলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফলাফল অসম্ভব এবং তারা কখনোই পরাজিত হতে চাইবে না। আমেরিকার ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। যারা এই নীতি ঘোষণা করেছেন, তারা কতটা কার্যকর করেন তার ওপর নির্ভর করবে সব কিছু।’ সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এআই/টিএবি/এসবি২