রিয়াদ হাসান: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন দিনদিন বেগবান হচ্ছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অনেক নেতাকর্মী। তবুও আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আন্দোলনের তীব্রতা অনুমান করে সরকার যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে আটক করে রেখেছে।
তিনি বলেন, সরকার আন্দোলনে ভয় পাচ্ছে বলেই বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, যুবদল নেতা আব্দুল মোনায়েম মুন্না, গোলাম মওলা শাহিনকে আটক করে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহিনের জামিন হওয়া সত্ত্বেও বারবার কারাফটক থেকে আটকের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে দেশ ও দেশের বাহিরে যে ধিক্কার উঠেছে সেটিকে আড়াল করার জন্যই সরকার একেক সময় একেক খেলা দেখাচ্ছে। জামিন হওয়া সত্ত্বেও শাহিনের কারগার থেকে বের না হওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। হাইকোর্টের আদেশ থাকার পরেও ব্যাকডেটের পেন্ডিং মামলায় তাকে বারবার গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। আমি এ ঘটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকার ইচ্ছা করেই তাকে আটক করে রেখেছে। শেখ হাসিনা ভয়ে যুবদলের নেতাদের আটক করে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, জেলখানাকে ব্যক্তিগত টর্চার সেল বানিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে আটক রাখা যায় না, এটা যুগে যুগে প্রমাণিত হয়েছে।
এ সময় তিনি নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাড়িতে বারবার আগুন লাগানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের মদদ না থাকলে তার বাড়িতে আগুন লাগে কেমন করে?
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, তথ্য ও গভেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহ প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কেএম সানোয়ার আলম, সহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রুমন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আরএইচ/টিএবি/এসবি২