ডেস্ক রিপোর্ট: কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
সোমবার (২৯ মে) হাইকোর্টের একটি ফৌজদারি বেঞ্চে তার আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে। জামিন শুনানি শেষে নিপুণ আবারও হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় আগাম জামিন নিতে মাথায় ব্যান্ডেজ-হাতে ক্যানুলা নিয়ে হাইকোর্টের বারান্দায় বসে আছেন সূত্র: দেশ রূপান্তর
গত শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার দায়ের করা মামলায় নিপুণ রায়সহ বিএনপির ১০৮ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ‘অনেক’ আসামি রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এসএম সুমন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ মে সকালে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শুরু হওয়ার পর বিএনপির বিভিন্ন নেতারা আওয়ামী সরকারকে উৎখাতসহ বিভিন্ন উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেন। এতে সেখানে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় নিপুণ রায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন উত্তেজনা ও কটূক্তিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে নিপুণ রায়ের হুকুমে নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ধারালো চাকু ও বাঁশের লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে কার্যালয়ের আসবাব ও গ্লাস ভাঙচুর এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজহার বাঙালিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা ও মারধর করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ জানান, সুমন বাদী হয়ে গত ২৭ মে দুপুরে মামলা করেছেন। এতে নিপুণ রায়কে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১০৮ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এইচএ