শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৩৫ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল

রিয়াদ হাসান: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন একটি সরকার আমাদের ওপরে চেপে বসেছে। যে সরকার মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না। মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। তারা যে কোনো উপায় হোক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। কেউ বাদ যাচ্ছে না। শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়, সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি মিরপুর পল্লবী থানার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অপপ্রয়োগের ফলে একজন অসহায় নিরাপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরো তিনজন শ্রদ্ধেয় সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। 

তিনি আরো বলেন, বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন-হয়রানি করেছে। এবার সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা। কোনোটাই নেই দেশে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার আবারো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে নাই। কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তারা আবারো একটা নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা করতেছে। ১৪ ও ১৮ সালের মতো রাতে ভোট করে ক্ষমতা থাকতে চায়। কিন্তু সেটি এদেশে জনগণ হতে দেবে না।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা দশ দফা দিয়েছি। এতে বলেছি, এই সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনে যদি বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়। তার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করা হবে। কারণ বর্তমান সরকার সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়