শাহীন খন্দকার: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, চলমান সহিংস রাজনীতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত। সহিংসতার মাধ্যমে জোর জবরদস্তির একটি নির্বাচন হবে, সরকারি দল থেকে এমন মেসেজ আমরা পাচ্ছি। এটা দেশ ও জাতির জন্য দুঃখজনক।
তিনি বলেন, কথা বলা, সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার থাকতে হবে। স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্থ হলে সহিংস রাজনীতি আসে। যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হাওয়া জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামকে আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে একথা বলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পা-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গেলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় ভাবে সফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনে লড়েছে। ফলে, সরকার সমর্থকরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিততে পারেনি।
জি এম কাদের আরও বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামীলীগের হয়রানি মূলক মামলা ও হামলার শিকার হচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। হয়রানি মূলক মামলায় হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। পথে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন তিনি।
শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিল। সময়মত তাকে হাসপাতালে নেয়া না হলে তার মৃত্যুর আশংকা ছিলো। তাকে আজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। যদিও থেকে থাকে তাহলে তারা এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
শফিকুল ইসলাম আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসময় জাতীয় পার্টির যুগ্ম কোষাধক্ষ এডভোকেট আবু তৈয়ব, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম ও যুগ্ম যুব বিষয়ক সম্পাদক দীন ইসলাম শেখ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :