শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা : বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকীসহ নেতাকর্মীদের উপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার বাজারে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার ৬নং আমলী আদালতে ১৭জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দৈনিক দিনকালের লাকসাম উপজেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ৬নং আমলী আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. কাইমুল হক রিংকু এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায় , গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু সস্ত্রীক তার নোয়াখালীর সোনামুড়া বাসা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার বাজারে বিকাল ৫টার সময় আসলে তার গাড়ির চাকার হাওয়া শেষ হয়ে যায়।
এ সময় গাড়ির চালক হাওয়া নিতে গেলে বিএনপি নেতা বুলু, তার স্ত্রী ও তার সাথে আসা নেতাকর্মীরা রেস্টুরেন্টে চা খেতে যায়। এ সময় স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে।
এ সময় বিএনপি নেতা বুলু, তার স্ত্রী , মনোহরগঞ্জের স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দলের ৭/৮ জন মারাত্মক আহত হয়। বরকত উল্লাহ বুলুর মাথায় ১৮টি সিলি দেওয়া হয় এবং এখনো সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার স্ত্রীকে জিআই পাইপ দিয়ে সারা শরীরে বেধরক পিটানো হয় এবং অন্য নেতাকর্মীদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মেরে রক্তাত্ব করা হয়।
মামলায় এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন, মো. সাফায়েত হোসেন, আতাউর রহমান শিপন, বাবু, রুবেল হোসেন, তাজুল ইসলাম, মো. সাজু আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, মাজহারুল ইসলাম, মো. রাকিব, মানিক মিয়া, ইমন হোসেন, জহিরুল ইসলাম, বিজয়, ওমর ফারুক, মাসুদ পারভেজ ও সেলিম।
তাদের প্রত্যোকের বাড়িই মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. কাইমুল হক রিংকু বলেন, আদালত আমাদের মামলার মেরিট বিবেচনা করে পিবিআইকে মামলার তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পাদনা: আল আমিন