দিনভর আলোচনায় ছিল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ৫২ বছরের পুরানো লকার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনে শেখ হাসিনার উপস্থিতি ছাড়া লকারটি ভাঙার সুযোগ নেই। তবে বিশেষ কারণে, আদালতের আদেশে ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে ভাঙতে হবে লকারের তালা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার নামে লকারটি ১৯৭৩ সালে খোলা হয়। ব্যাংক ট্রেজারিতে দেখা যায়, ৫২ বছর ধরে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর পর সচল রাখা হয়েছে লকারটি। শেখ হাসিনার সর্বশেষ ট্যাক্স ফাইলেও লকারটির তথ্য ছিল।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) লকারটির খোঁজ নিতে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় এনবিআর। তবে গত মার্চে লকারটিসহ শেখ হাসিনার ১২৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। ফলে একটি সংস্থার তদন্ত চলাকালে অন্য একটি সংস্থার জব্দ বা ভাঙার নিয়ম না থাকায় শুধু তথ্য নিয়েই ফিরে যায় এনবিআর।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইনে ব্যক্তি জীবিত থাকার সময় অন্য কারো লকার ভাঙা বা খোলার এখতিয়ার নেই। তবে কোনো সংস্থার আইনে জব্দ বা ভাঙার এখতিয়ার থাকলে আদালতের নির্দেশে পূর্বঘোষণা দিতে হবে। উপস্থিত থাকতে হবে ম্যাজিস্ট্রেট, রেগুলেটরি অথরিটি ও সাক্ষীদের।
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের তথ্যমতে, জব্দ করা ১২৮ নম্বর লকারটির দুটি চাবির মধ্যে একটি রয়েছে শেখ হাসিনার কাছে। ব্যাংকটিতে শেখ হাসিনার অ্যাকাউন্টে ১২ লাখ এবং শেখ রেহেনার সঙ্গে যৌথ নামে ৪৪ লাখ টাকার এফডিআর জব্দ করা হয়েছে।
বিএফআইইউর তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত হাসিনাসহ তার পরিবারের ফ্রিজ করা হিসাবে ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা রয়েছে। উৎস: সময়নিউজটিভি।