শিরোনাম
◈ ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ বাড়ছে: আমানত প্রবৃদ্ধি আট শতাংশের নিচে, আস্থাহীনতায় ঋণ প্রবৃদ্ধিও কমছে ◈ এবার সৌদি আরব কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে শুষ্ক মরুভূমিকে সবুজ বানাবে! ◈ হামলার প্রতিবাদে বরিশালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ◈ ‘এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক’ বলে প্রকাশ্যে স্ত্রী মারধর করলেন স্বামীকে, ভিডিও ভাইরাল ◈ এবার থাইল্যান্ডের ২ চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবায় বিএমডিসির নিষেধাজ্ঞা ◈ বাংলাদেশি পর্যটক কমায় ধুঁকছে কলকাতার নিউমার্কেট, মেডিকেল ভিসায় ভরসা ব্যবসায়ীদের ◈ দরকষাকষিতে কে এগিয়ে বিএনপি না এনসিপি ◈ নেইমারকে নি‌য়ে সমকামবিদ্বেষী স্লোগান দেয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের ১১ লাখ টাকা জ‌রিমানা ◈ সাত অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ ঝড়ের সম্ভাবনা, ঢাকায় আকাশ মেঘলা ও বৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ নির্বাচন নিয়ে ছাত্র রাজনীতি সরগরম, প্রচারে ছাত্রদল অনেকটা পিছিয়ে

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৫ দুপুর
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

নির্বাচন নিয়ে ছাত্র রাজনীতি সরগরম, প্রচারে ছাত্রদল অনেকটা পিছিয়ে

মহসিন কবির: ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকা, রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রচারণা জমে উঠেছে। তবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের প্রচারণা অন্যদলের তুলনায় কম লক্ষ্য করা গেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ছাত্রদলের প্যানেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান। সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাবির সিনেট ভবনে ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। তবে প্যানেল ঘোষণা করা হয়নি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সাদিক কায়েম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চ থেকে যুক্ত হয়েছেন ফাতিমা তাসনীম জুমা।

অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার জন্য জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনার মতোই “নির্বাচনী ম‍্যানুয়েল” প্রণয়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। আগামীকাল ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা দেবেন বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে মনোনয়ন ফরম গ্রহণের শেষ দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। 

জানা যায়, ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া, এজিএস পদে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকবেন।

আওয়ামী লীগের আমলে ১৫ বছর ক্যাম্পাসে বেশ চাপে ছিল ছাত্রদল। টানা দমনপীড়নে সাংগঠনিক সক্ষমতায় ঘাটতিও তৈরি হয়। ৫ আগস্টের পরও ঠিকমতো গুছিয়ে উঠতে পারেনি দেশের অন্যতম বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠন। তারা এখন ক্যাম্পাস কমিটি গঠন করছে। এসব কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতা অনেকের ছাত্রত্ব না থাকায় তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। কমিটি নিয়ে কোন্দলও আছে। এর প্রভাব পড়েছে ছাত্র সংসদগুলোয় নির্বাচনী প্যানেল গঠনে। 

তিন ক্যাম্পাসেই মধ্যম সারির কয়েকজন করে নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে মনোনয়নের নিশ্চয়তা না থাকায় কেউ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেননি।  সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। নেতারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। 

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ছাত্রদলকে শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরব ছিল না। তপশিল ঘোষণার পরও তারা নির্বাচন পেছানোর দাবি করছে। দিয়েছে সংস্কারের শর্ত। তবে এসব দাবি পূরণ না হলেও ছাত্রদল ভোট বর্জন করবে না বলে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। 

সংগঠনটির সূত্র জানায়, ডাকসু এবং রাকসু নির্বাচনের প্যানেল ঠিক করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ছাত্রদল নেতারা। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন আগামীকাল মঙ্গলবার। গতকাল ক্যাম্পাসটিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা যাওয়ার পর সদ্য ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কমিটির নেতারা পদ-পদবি নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ আজ সোমবার থেকে শুরু হলেও কমিটির দ্বন্দ্বে জাকসু প্যানেল নিয়ে ছাত্রদল নেতারা আলোচনায় বসতে পারেননি। 

ডাকসুর ভোট ৯ সেপ্টেম্বর, জাকসুতে ১১ সেপ্টেম্বর আর রাকসুর ভোট গ্রহণ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। ২৯ বছরের বিরতির পর ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। জাকসু এবং রাকসুতে নির্বাচন হচ্ছে ৩৫ বছর পর। নব্বইয়ে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়েই জয়ী হয়েছিল ছাত্রদল।

গত ১৪ আগস্ট ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ইশতেহারসহ প্রচারণায় নেমেছেন। ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন গতকাল সমকালকে বলেন, ছাত্রদলের কেউ এখনও মনোনয়ন ফরম নেয়নি। 

ডাকসুতে পদসংখ্যা ২৮, হল সংসদে ১৩টি। তবে আলোচনা চলছে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস), সমাজসেবা সম্পাদক, হল সংসদের ভিপি-জিএস পদ নিয়ে। 

আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি ছাত্রদল নিয়মিত ছাত্রত্ব থাকা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে হল কমিটি করেছে। সর্বশেষ কমিটিতে ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পদ পেয়েছিলেন। ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ডাকসুতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আগের নেতাকর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর হল কমিটি থেকে দেওয়া হবে হল সংসদে মনোনয়ন।  

ছাত্রদল নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না ছাত্রলীগের দখলে থাকা হলগুলোতে। ছাত্রদলের যেসব নেতা ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ ছিলেন, তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ছাত্রলীগের ধরপাকড়ে। ফলে নতুন কর্মী ও নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তাই ছাত্রদলের সাংগঠনিক অবস্থা ঢাবিতে এখনও কিছুটা ‘নড়বড়ে’। 

গত শনিবার রাবি ছাত্রদলের ১১৩ সদস্যের ‘অপূর্ণাঙ্গ’ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছেলেদের ১১ হলেরও ‘অপূর্ণাঙ্গ’ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের অধিকাংশের নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় তারা রাকসুতে প্রার্থী হতে পারছেন না।

ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, রাকসুতে স্বতন্ত্র কিংবা ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল দেওয়া হতে পারে। হলগুলোতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের গণসংযোগ শুরু করলেও কেন্দ্রীয় সংসদের ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না। 

ছাত্রদলের মধ্যম সারির নেতারা বলেছেন, জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাত্রত্ব না থাকায় নির্বাচনে তাদের অনীহা রয়েছে। কর্মীরা নির্বাচন চাইলেও তারা ভোটের জন্য নানা শর্ত দিচ্ছেন। তপশিল ঘোষণার আগে ছাত্রদল হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন; বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও একাধিক হলের প্রাধ্যক্ষ অপসারণ এবং আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষকদের বিচার দাবি করে। দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেয়। 

অন্য সংগঠনের নেতারা বলছেন, ছাত্রদল এর মাধ্যমে নির্বাচন পেছাতে চাইছে। সংগঠনটি দাবি করছে, ভোটার তালিকায় ছাত্রলীগ নেতাদের নাম থাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে ছাত্রলীগ নেতারা বাদ যাবে। 

ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে সহসভাপতি জান্নাতুন নাঈম তুহিনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু ও দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবনের ছাত্রত্ব রয়েছে। সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ২০০৯-১০ ও সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ভিপি পদে সংগঠনের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন মাহমুদুল হাসান মিঠু। নাফিউল জীবন, জাহিন বিশ্বাস এষা এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) রাবি শাখার সদস্য সচিব গাজী ফেরদৌস হাসান। 

ছাত্রদল প্রস্তাব করেছিল এমফিল শিক্ষার্থীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন জানান, এমফিলে ভর্তি হতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা ছাত্রদলের একজনের রয়েছে। 

রাকসুতে ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ১২৭। ছাত্রদলের নেতারা মনে করেন, সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হলেও জাতীয়তাবাদী আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অবস্থানের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোট পাবেন। শিক্ষার্থীদের বড় অংশের পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। তাদের ভোট ছাত্রদলই পাবে। 

শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমাদের দাবিগুলো আমলে নেয় প্রশাসন। শিবির ও তাদের বানানো ছোট ছোট টিম ছাড়া আর কেউ নীতিনির্ধারণী ভূমিকায় নেই। ছাত্রদল চায় প্রশাসন নিরপেক্ষ থেকে আস্থা অর্জন করুক। তড়িঘড়ি না করে সুষ্ঠু নির্বাচন করুক। কিন্তু প্রশাসন একটি সংগঠনের স্বার্থে এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে। 

ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করবে কিনা– প্রশ্নে রাহী বলেন, দাবি না মেনে নির্বাচন করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করব। নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা ছাত্রদল করছে– জানিয়ে রাবি সভাপতি বলেন, ছাত্রদল এককভাবে প্যানেল দেবে। তবে প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে জোট হতে পারে। ছাত্রদল জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগ ঠিক নয়। এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীল কেউ নির্বাচন পরিপন্থি কাজ করেননি। কোনো সংগঠন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জাকসুর আগে ছাত্রদলে বিভক্তি:  আগামীকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় হলেও জাবিতে ছাত্রদল নেতারা নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়েছেন কমিটি নিয়ে। গত ৮ আগস্ট জাবিতে ৩৭০ সদস্যের বর্ধিত কমিটি এবং ১৭টি হল, একটি অনুষদসহ ৮৮ সদস্যের কমিটি করে ছাত্রদল। হত্যা মামলার আসামি, ছাত্রলীগ ও ছিনতাইকারীরা পদ পেয়েছে অভিযোগ তুলে আন্দোলন করছেন পদবঞ্চিতরা। 

বিক্ষুব্ধদের তোপের মুখে ছাত্রদল আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি। ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের দোয়া মাহফিলেও তারা ছিলেন না। 

এর পরও ছাত্রদল একক প্যানেল দেওয়ার কথা বললেও কারা মনোনয়ন পাবেন, তা স্পষ্ট করেনি। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, কমিটি নিয়ে মনোমালিন্য থাকতে পারে। তবে জাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্রদলের ভেতর একটি অদৃশ্য শক্তি ঢুকে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। ৫ আগস্টের পর থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য ছাত্রদল অনেক কাজ করেছে, যা তাদের সহ্য হয়নি। 

প্যানেল নিয়ে আলোচনা চলমান বলে জানিয়েছেন ছাত্রদল আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ভিপি-জিএস এবং অন্যান্য পদে কারা প্রার্থী হবেন, দুই-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। 

জাবিতেও ছাত্রদল বলছে, প্রশাসনে আওয়ামী-ফ্যাসিবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা থাকায় নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

জাবিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আসার পর পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করেন। নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, কমিটি নিয়ে কারও কারও অসন্তোষ রয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। জাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদল ইতিবাচক। আমরা অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

ঢাবির মতো আওয়ামী লীগ আমলে জাবির ক্যাম্পাস হলে থাকতে পারেনি ছাত্রদল। তাই এখানেও সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল। জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাত্রত্ব না থাকায় প্রার্থী হতে পারছেন না। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় আহ্বায়ক বাবর, সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক, আফফান আলী, এস এম ফয়সাল, হুমায়ুন হাবীব হিরনসহ শীর্ষ নেতাদের নাম নেই ভোটার তালিকায়। 

৪৮ থেকে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ভিপি পদে ৪৮ ব্যাচের শেখ সাদী, জিএস পদে ৪৯ ব্যাচের মেহেদী ইমন, মো. রুবেল ও জহিরুল ইসলামের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়