ভারতীয় চিকিৎসকের পর এবার সাময়িক নিবন্ধনহীন থাইল্যান্ডের দুই চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
রোববার (১৭ আগস্ট) তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএমডিসি রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন। থাইল্যান্ডের সামিটিভেজ হাসপাতালের ওই দুই চিকিৎসক হলেন- নাত্তিপাত জুথাচারোয়েনং ও ল্যান্টম টনভিচিয়েন। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ এবং বুকিং বাতিল করতে সিক্স সিজন হোটেলকে নির্দেশ দিয়েছে কাউন্সিল।
হোটেলটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দেওয়া চিঠিতে বিএমডিসি বলেছে, উপরোক্ত বিষয়ে আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, আপনার প্রতিষ্ঠানে সামিতিভেজ হাসপাতাল, থাইল্যান্ড থেকে দুইজন বিদেশি চিকিৎসক নাত্তিপাত জুথাচারোয়েনং ও ল্যান্টম টনভিচিয়েন (মোবাইল নাম্বারের সূত্র অনুযায়ী সিক্স সিজন হোটেলে) আপনার হোটেলে চিকিৎসা সেবা দেবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় আয়োজকদের নাম এবং পরিচয় ও তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিএমএন্ডডিসি আইন ২০১০-এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো চিকিৎসক বা চিকিৎসক দল তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে কাউন্সিল থেকে সাময়িক রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। কাউন্সিলের তথ্য মতে- উক্ত চিকিৎসকদের এ বিষয়ে বিএমঅ্যান্ডডিসি হইতে সাময়িক রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেন নাই। বিএমঅ্যান্ডডিসি আইন ২০১০ অনুযায়ী উক্ত কার্যক্রম অবৈধ বলিয়া প্রতীয়মান হবে। অতএব উক্ত চিকিৎসক দ্বারা সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত রাখার জন্য এবং তাদের বুকিং বাতিল করা আবশ্যক বলিয়া কাউন্সিল মনে করে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট বিএমডিসির নিবন্ধন গ্রহণ না করে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় চিকিৎসকের সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় ভারতীয় চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। কনভেনশন সেন্টারের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিদেশি চিকিৎসকের সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধে তার বুকিং বাতিলেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিএমডিসি রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়াই সেমিনারের নামে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানোর প্রস্তুতি নেওয়ার খবর আমাদের নজরে এসেছে। তারা যদিও দাবি করেছে, তারা কোনো কনসালটেশন দেবে না। তবে অতীতে তারা এ রকম বলে বাংলাদেশে এসে চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছে। বহুবার এ রকম করেছে। আমাদের আইনে তা সিদ্ধ নয়। তাই এ আয়োজন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।