ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বাংলাদেশের নিরাপত্তায় শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব দিয়েছে।
বুধবার (৭ মে) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বুধবার রাতে ভারত কর্তৃক পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে এবং এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি আঘাত করেছে। এনসিপি বিবাদমান উভয়পক্ষকে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে যথাযথ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চক্রান্তে লিপ্ত। তারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান-মালের ক্ষতি সাধনে সক্রিয় রয়েছে।
সীমান্তে সক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই। তারা যেন সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এতে বলা হয়, বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের এবং এর সার্বভৌম নাগরিকদের দ্বারা সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে এনসিপি। এই জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এনসিপি সক্রিয় ভূমিকা পালনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।