শিরোনাম
◈ আকবরের সেঞ্চুরি কা‌জে আস‌লো না, দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকার কা‌ছে ১০ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলা‌দেশ   ◈ শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ স্ক্যাবিস থেকে বাঁচার উপায়, সতর্ক হন এখনই! (ভিডিও) ◈ ঢাবি ছাত্র সাম্যকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ ◈ রাজনীতির পালাবদলে বিপাকে তারকারা: গ্রেফতার, মামলায় জর্জরিত অর্ধশতাধিক শিল্পী ◈ নানা বৈষম্যে চাকরি ছাড়ছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা! ◈ টিউলিপকে ফেরাতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি: দুদক চেয়ারম্যান ◈ সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিকের মৃত্যুর পর বিস্ময়কর দাবি ◈ আওয়ামী লীগের 'কর্মকাণ্ড', ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ◈ দুদকের তলবে সাড়া দেননি টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৩৭ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি শেষ, রায় বুধবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আপিল শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে, তবে সুদে-আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান। 

একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়