শিরোনাম
◈ আড়াই বছর পর ক‌্যাম্প ন‌্যু‌য়ে ফিরে বার্সেলোনা শ‌নিবার ম‌্যাচ খেল‌বে ◈ বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা মানছেন না নির্বাচনী আচরণবিধি, কঠোর হওয়ার পরামর্শ ◈ সাংবাদিক খাশোগি ‘অত্যন্ত বিতর্কিত’ ছিলেন, সৌদি যুবরাজের পক্ষে দাবি ট্রাম্পের  ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড: শেখ হাসিনার রায় কীভাবে কার্যকর হবে ◈ উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে ২৫ কোটি টাকার ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে সরকার ◈ বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে ◈ প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট: ৫ দিনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক, অঞ্চলভিত্তিক সময়সূচি ঘোষণা ইসির ◈ সোনার নতুন দাম, কত কমলো? ◈ ২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ ◈ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২২ দুপুর
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিকে সংলাপে না রাখায় জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে’

আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিকে সংলাপের বাইরে রাখায় জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৪৮.০৪।

শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিগত সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, কয়েক দিন আগে প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৪৮.০৪। বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন। তাদের ভাটের হার ছিল ৩২.০৫। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। ভোটের হার ছিল ৭.০৭। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে একটা সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদাররা বলেছিল আমরা মানুষ চাইনা মাটি চাই। পোড়ামাটি নীতিতে মানুষকে গাদ্দার মনে করা হয়েছিল। ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে বাদ দিয়ে সুন্দর দেশ গড়া বাস্তবসম্মত নয়। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। তা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সেল্ফসেন্সরশীপ চলছে। সাংবাদিকরা ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

জিএম কাদের দাবি করেন, আমাদের পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। পাসপোর্ট পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। নির্বিচারে আমাদের লোকদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কিন্তু জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পত্রিকায় দেখেছি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেছেন, রাষ্ট্রসংস্কার ছাড়া অন্তবর্তীকালীন সরকার চলে গেলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাড় করাবে। অত্যন্ত সত্য কথা। আন্দোলনটা ছিল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। কারণ, শেখ হাসিনা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার লোকজন লুটপাট করে দেশটা শেষ করে দিয়েছিল। একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির মুক্তি মিলবে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে সকল ধরণের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠিত হবে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে দানবীয় সরকার গঠন করেছিল বলে উল্লেখ করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার চাই। বৈষম্যমুক্ত সমাজের জন্য শুধু ছাত্র না আজীবন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ যুদ্ধ করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার। সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে, পরবর্তীতে এটি সংসদেও পাশ করতে হবে।

জিএম কাদের দাবি করেন, কয়েকদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এতে জাতীয় ঐক্যের নামে জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হলো। ৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে মাত্র ১৮টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি।

সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়