শাহীন খন্দকার: [২] তিনি আরও বলেন, দেশের শাসনকাজে দৃশ্যমান ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শাসনকাজ ভালোভাবে চলছে না, অর্থাৎ সুশাসনের অভাব।
[৩] বিরোধীদল নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে।এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। ১০বছর মেয়াদি ক্রয়কৃত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ৫ বছরেই শেষ। বাকি ৪০ হাজার ভোটিং মেশিনও অকেজো হওয়ার পথে। বেশির ভাগ ইভিএম-ই এখন অকেজো। শেষ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধীন কেনা ইভিএম সম্পদের বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
[৪] মঙ্গলবার বিকেলে ডিপ্লোমাইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি ও ভাইস-চেয়ারম্যান এইচ এম শাহারিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এসব কথা বলেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জার্মানির তৈরি দুটি পাইপ কাটারের দাম দেখানো হয়েছে ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একইভাবে জার্মান কোম্পানির দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এসব পণ্যের অস্বাভাবিক দাম দেখে চালানটি আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারপর এসব পণ্য আমদানিকারক সিপিজিসিবিএল ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
[৬] বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শুধু এই দুটি পণ্য নয়, এই চালানের ১৯টি পণ্যই অযৌক্তিক উচ্চমূল্যে আমদানি করা হয়েছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা এ চালানটির আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৩ মার্কিন ডলার। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৫৬ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি। বিশেষ বিবেচনায় বৈধভাবে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৭] জি এম কাদের বলেন, গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এমন বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ১৭ প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে অনুমোদন পেয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। তবে বিদেশে দ্বিতীয় নিবাস গড়ার জন্য কাউকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে বাংলাদেশিরা কীভাবে মালয়েশিয়া দ্বিতীয় নিবাস গড়ল। কীভাবে টাকা নিয়ে গেল?
[৮] জাতীয় যুব সংহতির ৪১ তম অনুষ্ঠানে-উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, মনিরুল ইসলাম মিলন, ড.নূরুল আজাহার শামীম,নুরুল ইসলাম তালুকদার, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, জাতীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম খান, মটর শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :