শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৩:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা নাটক এখন আগের চেয়ে অনেক সাবলীল আর ইনক্লুসিভ 

শাকিব মুসতাভী

শাকিব মুসতাভী: নব্বই দশকের বাংলা নাটকগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে বুঝবেন, শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত নির্বিশেষে সব কয়টা ভদ্রলোক চরিত্র তথাকথিত শুদ্ধ বাংলায় কথা বলছে। অন্যদিকে চাকর-বাকরেরা কথা বলছে, আঞ্চলিক ভাষায়। আমি বাংলাদেশের অন্যতম দুইটা সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছি বুয়েট আর নটরডেম কলেজ। কোথাও শিক্ষকদের  নব্বই দশকের বাংলা নাটকের ভদ্রলোকদের মতো করে কৃত্রিমভাষায় কথা বলতে শুনিনি। ছাত্রছাত্রীদের মুখে শোনার তো প্রশ্নই আসে না। তখনকার নাটকে যেভাবে ভদ্রলোকের সংলাপ দেওয়া হতো, সেটা বাস্তবেও খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। অথচ এগুলোকে এককালে রুচিশীলতা হিসেবে সেলিব্রেট করা হতো। এই ধারায় পরিবর্তন আসল শূন্যের দশকে। জাতি অবশেষে রুচির ঠিকাদারদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলো। বাংলা নাটক এখন আগের চেয়ে অনেক সাবলীল আর ইনক্লুসিভ। সমাজের সবশ্রেণির চিত্র এখনকার নাটকে পাওয়া যায়।

আগের দিনের নাটকগুলো ছিলো মূলত বড়লোকদের জন্য। কারণ বড়লোকেরা তখন টিভি কিনতে পারতো। এতগুলো টাকা দিয়ে কেনা টিভিতে বড়লোকেরা যাতে টিভির পর্দায় নিজেদের চাষাভূষাদের থেকে আলাদা করতে পারে, সেজন্য সব ভদ্রলোকের সংলাপ দেওয়া হতো মান ভাষায় আর বাকিদের আঞ্চলিক ভাষায়। শূন্যের দশকে এই ট্রেন্ডে ভাটা পড়লো। রঙিন টেলিভিশন ও ডিশের লাইন সহজলভ্য হতে শুরু করলো। কারণ তোশিবা, স্যামসং, এলজি, সনি এইসব দামী জাপানি-কোরিয়ান টিভির পাশাপাশি কংকা, টিসিএল, ওয়ালটন, আকাই এসব সস্তা চাইনিজ টিভি মার্কেটে আসা শুরু করলো। অনেকে শূন্যের দশকে টিভি থেকে মানভাষা হটানোর পুরো কৃতিত্ব মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীকে দেন। আমি মনে করি, সস্তা চাইনিজ টিভিতে বাজার সয়লাব না হলে ফারুকির পক্ষে একা বেশি কিছু করা সম্ভব হতো না। দাম দিয়ে কেনা জাপানি টিভিতে  বাংলাদেশি এলিটরা অপ্রমিত বাংলার সংলাপে নাটক দেখত না। কারণ ফোর্ট উইলিয়ামের আমল তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রমিত ভাষায় যারা কথা বলে না, তারা সবাই চন্ডাল। এখানে আসলে প্রমিত বাংলা বা তথাকথিত শুদ্ধবাংলার ভাষার রাজনীতি লুকায়িত। ফেসবুকে ২১-২-২৪ প্রকাশিত হয়েছে। 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়