শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সায়েলেন্ট ট্রিটমেন্ট ও প্রিয়জনদের প্রিয় হওয়ার প্রয়োজনিয়তা

আকতার বানু আলপনা 

আকতার বানু আলপনা: স্ত্রীর প্রতি অনেক স্বামী যেসব মানসিক নির্যাতন করেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো সায়েলেন্ট ট্রিটমেন্ট। সায়েলেন্ট ট্রিটমেন্ট বলতে বোঝায় কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে স্ত্রীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া, নিজের চেহারা অসুখী করে রাখা বা সবসময় মুখ কালো করে থাকা, স্ত্রীকে উপেক্ষা করা, স্ত্রীর দোষ কি তা স্পষ্ট করে স্ত্রীকে না বলা, দিনের পর দিন স্ত্রীর কোনো কথা বা অনুরোধ না শোনা ইত্যাদি। এগুলো সবই স্ত্রীর প্রতি মানসিক নির্যাতন। কারণ এসব করলে সবসময় স্ত্রীরা ভয়ে ভয়ে থাকেন। অজানা আতঙ্কে ভোগেন। তারা কী দোষ করেছেন, তা বুঝতে না পেরে একসময় নিজেকেই দোষী ভাবতে শুরু করেন। মনে করেন, তিনি নিশ্চয়ই কোন না কোন দোষ করেছেন, যার জন্য তিনি স্বামীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার পাচ্ছেন। এর ফলে স্ত্রীর আত্মবিশ্বাস, নিজের প্রতি আস্থা কমতে থাকে, সবসময় তিনি হীনমন্যতায় ভোগেন, রাতদিন নিজের দোষ খুঁজতে থাকেন, নিজেকে ধিক্কার দেন, স্বামীর প্রতি আরও বেশি অনুগত হওয়ার চেষ্টা করেন ইত্যাদি। এই অবস্থাটা হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ হওয়ার প্রথম ধাপ।

দ্বিতীয় ধাপে স্ত্রীরা নিজের কোন দোষ খুঁজে না পেয়ে তারাও স্বামীকে উপেক্ষা করতে শুরু করেন। তারা নিজের মতো থাকতে শুরু করেন। স্বামীর ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা  নিয়ে চিন্তা করা ছেড়ে দেন। স্বামীর প্রতি যেটুকু দায়িত্ব পালন না করলেই নয়, শুধু সেটুকু করেন। এর ফলে ধীরে ধীরে স্বামীর সাথে দূরত্ব বাড়তেই থাকে। তৃতীয় ধাপে এসে স্ত্রীরা নিজেদের স্বামীর কাছ থেকে মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। তখন তারা স্বামীর প্রতি আর কোনো টান অনুভব করেন না। স্বামীর সাথে থাকার আগ্রহও বোধ করেন না। এই অবস্থায় দুটো ঘটনা ঘটে। এক-স্ত্রী স্বাবলম্বী হলে বা অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালে তিনি স্বামীকে ছেড়ে চলে যান। এবং দুই - স্ত্রী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হলে বা সন্তানদের ভালোর কথা, সমাজে নিজের মর্যাদাহানি হবার কথা চিন্তা করে তিনি স্বামীর সাথেই থাকেন। তবে তখন স্বামীর সাথে আন্তরিকতাহীন সম্পর্ক চালিয়ে যান। তখন স্বামী-স্ত্রী একই ছাদের নিচে থেকেও তারা সম্পর্কহীন সম্পর্কে আবদ্ধ থাকেন। অধিকাংশ পরিবারে শুধু স্বামীদের নানা আচরণিক সমস্যার কারণে স্ত্রী-সন্তানরা মানসিক অশান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য হন। এসব পরিবারের সন্তানরা অবাধ্য, উগ্র মেজাজী এবং পড়াশোনায় চরম অমনোযোগী হয় এবং বাবা-মারা সন্তানদের এমন আচরণের কোনো কারণ খুঁজে পান না। 

এসব পরিবারের সন্তানদের যদি কোনো কাউন্সেলর প্রশ্ন করেন, ‘তুমি তোমার বাবা-মাকে কতটা ভালোবাসো?’ উত্তরে এরা নির্দিধায় বলে, ‘আমি আমার বাবা-মাকে ঘৃণা করি।’ আবার যদি প্রশ্ন করা হয়, ‘তোমার সংসার জীবন তোমার বাবা-মার মতো হোক, তুমি কি তা চাও?’ তারা একবাক্যে বলে, ‘একদম না।’ মরাল অফ দ্য স্টোরি : অন্য মানুষদের কাছে প্রিয় হওয়ার চেয়ে নিজের পরিবারের কাছে প্রিয় হওয়াটা বেশি জরুরি। না হলে সম্পর্কহীন সম্পর্কে থেকেই আপনার জীবন পার হয়ে যাবে এবং আপনি কোনোদিন জানবেনই না বা জানার চেষ্টাও করবেন না যে, আপনার পরিবার আপনাকে ঠিক কতটা ঘৃণা করে। অবশ্য এমন স্বামীও আছেন যিনি মনে করেন, ঘৃণা করলে সমস্যা কী? পুনশ্চ : আমি আমার পাঠকদের আমার লেখা/পোস্ট/ভিডিও শেয়ার করার অনুমতি দিচ্ছি। যাদের ভালো লাগবে, তারা আমার পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। কারণ লেখা/কথাগুলো যত বেশি মানুষ জানবে, ততো মানুষের আত্মোপলব্ধি ঘটবে। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়