আফজাল হোসেন: শিল্পীর মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত হই। কিন্তু তার বেঁচে থাকার কাল কতটা আনন্দ বেদনাময় এবং সার্থক জানা হয় না। একজন শিল্পী, সৃজনশীল মানুষের জন্ম হয় বহুবার। সৃজনকর্মের আনন্দ তাকে দেয় বারবার জন্মগ্রহণের অনুভব। সে অনুভবের কারণে বেঁচে থাকা তার কাছে হয়ে ওঠে অসাধারণ প্রীতিপূর্ণ এক অভিজ্ঞতা। মুদ্রার অপর পিঠে যেমন ভিন্ন চিত্র ঠিক তেমনই শিল্পীর জীবনও দুই পিঠের, দুই রকম চিত্রের। একদিক সুখময়, অন্যদিকে লেপ্টে থাকে স্বপ্ন ও আশাভঙ্গের রঙ। সর্বঅর্থেই শিল্পী প্রচলিতের বিপরীত মানুষ। বিত্ত-বৈভব, জাগতিক নানা সৌখিনতার প্রতি থাকে উদাসীনতা। প্রধান এবং একমাত্র চাওয়াই থাকে নিজের সাধ্য সামর্থ প্রমাণের সুযোগ।
হিসাবী সম্প্রদায়ের স্বার্থপর ভূমিকায় শিল্পীর আবেগ প্রতিনিয়ত চুরমার হতেই থাকে। সে বেদনা, যাতনার বাহক শুধু শিল্পী একা। এমন বেঁচে থাকা কতখানি বেঁচে থাকার মতো? শিল্পীকে যখন আসল মরা মরতেই হয়, সে খবর হৈ হৈ করে ছড়িয়ে পড়ে। জেনে কতো মানুষ কেঁপে ওঠে, বেদনার্ত হয়, ভাষা হারিয়ে ফেলে। যার জন্য এমন অসামান্য প্রতিক্রিয়া সে তখন দূরের মানুষ। অনেক অনেক দূরের। পৃথিবীর শঠতা, স্বার্থপরতা, অবহেলা এসব সাথে নিয়ে যাওয়া যায়না। চলে যাওয়ার কালে যা পৃথিবীর, পৃথিবীতেই ফেলে যেতে হয়। পড়ে রইলো সেসব- রইলো পড়ে অন্য কোনও শিল্পীর জন্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :