শিরোনাম
◈ সরকার পুঁজিবাজার সংস্কারে আনবে বিদেশি বিশেষজ্ঞ , পাঁচ নির্দেশনা ◈ নতুন সংবিধান প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার: আসিফ নজরুল ◈ নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলবে না: ডিআইজি রেজাউল ◈ সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অধ্যাদেশ জারি ◈ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ (ভিডিও) ◈ তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে, স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস ◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঋণ আমানত, স্মার্ট রেফারেন্স রেট ও মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা

জাহিদ হক : খুব সম্প্রতি একজন অর্থনীতিবিদ নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সদস্যদের সঙ্গে একটি আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের অস্থিতিশীলতার জন্য ‘নয়-ছয়’ (৯-৬) সুদের হারকে দায়ী করেছেন। ব্যাংকিং খাত ইন্টারেস্ট রেট ক্যাপ অর্থনীতিতে অনেক বিকৃতিও তৈরি করেছে, তিনি উপলব্ধি করেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়া বা আমানত নেওয়ার জন্য সস্তা সুদের হারে আগ্রহী হওয়ার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। সত্য হলো কিছু শীর্ষ কর্পোরেট ক্লায়েন্টের পীড়াপীড়িতে এগুলো আরোপ করা হয়েছিল। বেসরকারি খাতের ব্যবসার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের এই যুক্তি দিয়ে সন্তুষ্ট করেছিল যে  কোভিড মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যবসায়িক ধস কাটিয়ে উঠতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করার জন্য সস্তা অর্থের প্রয়োজন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এই হার কার্যকর হয়েছিল।

কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারিত হার ক্যাপ ব্যাংকিং সেক্টর অর্থনীতি উভয়ের জন্যই ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। উদাহরণস্বরূপ নিম্ন স্তরে আমানতের হার নির্ধারণ করা অনেক বিদ্যমান আমানতকারীকে তাদের আমানত প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে। অনেক সম্ভাব্য আমানতকারীকে ব্যাংকে আসতে নিরুৎসাহিত করেছে। এই জাতীয় প্রবণতা কোনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা তৈরি করেনি, প্রাথমিকভাবে মহামারীর শেষের অংশে তহবিলের জন্য দুর্বল চাহিদার কারণে। ঋণগ্রহীতাদের একটি অংশ যার মধ্যে কিছু অপরাধীও রয়েছে, তবে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র ব্যবহার করে সস্তা ঋণ নিয়েছে ও পরিশোধে খেলাপি হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে প্রদত্ত পুনঃনির্ধারণ সুবিধাগুলো সেই ঋণগ্রহীতাদের ভাসিয়ে রাখে। ব্যাংকগুলো তাদের শ্রেণীবদ্ধ ঋণের আকার ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এসব অনুশীলনের শিকার হয়। ব্যাংকগুলোর মুনাফাও কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষে যে শ্রেণিবদ্ধ ঋণের পরিসংখ্যান উপলব্ধ করে তা অ-পারফর্মিং ঋণের প্রকৃত চিত্র দেয় না। সংবাদপত্র এনপিএল নিয়ে প্রতিবেদন করার সময়, এটি একটি পয়েন্ট করে যে শ্রেণিবদ্ধ ঋণের আকার বড় হবে যদি সমস্ত পুনঃনির্ধারিত ও লিখিত বন্ধ ঋণগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এনপিএল গণনার প্রক্রিয়ায় আরও কিছু ধূসর এলাকা থাকতে পারে।

নিম্ন ঋণের হার কি বেসরকারি বিনিয়োগে সাহায্য করেছে? সব প্রত্যাশাকে উড়িয়ে দিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। গত চার আর্থিক বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ থেকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অনুপাত ২৩.৫ শতাংশ থেকে ২৪.৫ শতাংশের মধ্যে ছিল। অনুপাতটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বনিম্ন স্তর (২৩.৬৪ শতাংশ) ছিল। এইভাবে সর্বনিম্ন স্তরে নির্ধারিত ঋণের হার ব্যাংকগুলোর জন্য ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। অর্থনীতিবিদরা এ ধরনের সুনির্দিষ্ট হারের ধারণা পছন্দ করেননি, তবুও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেগুলোকে যথাস্থানে রেখেছে।

একটি বহুপাক্ষিক ঋণদাতার চাপের মুখে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক মাস আগে ৯-৬ হারের সীমা তুলে নিয়েছে। তবে বাজারভিত্তিক ঋণ ও আমানতের হার নির্ধারণে ব্যাংকগুলো স্বাধীন নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রেফারেন্স রেট চালু করেছে যা স্মার্ট নামে পরিচিত (ছয়-মাস মুভিং এভারেজ রেট অফ ট্রেজারি) যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো ঋণের হার নির্ধারণ করছে। স্মার্ট নিজেই একটি ক্যাপ। কঠিন তারল্য পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো ঋণ আমানতের হার আরও বাড়িয়ে দিত যদি তারা স্মার্ট শর্তগুলোর দ্বারা আবদ্ধ না হতো। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে সাহায্য করতো। তধযরফসধৎ১০@মসধরষ.পড়স. সূত্র : দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। অনুবাদ : মিরাজুল মারুফ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়