ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] এই ইতিহাসবিদ আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐশ্বর্য স্বীকৃত একটি বন্ধু রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা বিশেষভাবে আমাদের কাছে আকর্ষণীয়। ভারত না হলে, ভারতের সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ না করলে, বিশেষ করে শেষদিকে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হতে সময় লাগতো। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ আমাদের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের আত্মসমর্পনকে এগিয়ে নিয়েছিলো বলা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গোষ্ঠী বাংলাদেশকে নানানভাবে শোষণ করার চেষ্টা করেছে। যদিও এ সম্পর্কে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার সচেতন।
[৩] তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশকিছু অভিন্ন সমস্যা রয়ে গেছে। সেই সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে ১৯৪৭ সালের উপনিবেশিক বিভাজনের কারণে। তা না হলে প্রাকৃতি পর্যায়ে ভারত বাংলাদেশ একই ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ভারতে উৎপত্তি হওয়া নদী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। সেই নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ ঠিকমতো পাচ্ছে না।
[৪] সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশের দাবি। সেটি আমরা পাচ্ছি না। ভারত এ ব্যাপারে সচেতন। তবে প্রতিবার বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। আমার মনে হয়, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির সরকার যথেষ্ট শক্তিশালী। এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে। কার্যকর উদ্যোগটা এখনো নেওয়া হচ্ছে না।
[৫] বাংলাদেশের সমস্যা সম্পর্কে ভারতকে সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশকেও ভারতের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। একথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো সরকারনিরপেক্ষ সমস্যা। সুতরাং যে সরকারই থাকÑদ্বিপক্ষীয় সমাধানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সমধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি থাকার দরকার।
ভিএআর/এইচএ