মিরাজুল ইসলাম: ২০১০ সাল পর্যন্ত শিক্ষানীতি কারিকুলামে যারা পড়াশোনা করেছে তারা ভাগ্যবান। সময় জবাব দেবে। যুগের সঙ্গে পরিবর্ধনের অজুহাতে কিছুদিন পরপর কারিকুলাম পরিবর্তন কোনো দেশের প্রজন্মের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। যেকোনো নতুন কারিকুলাম ভালো হলো না খারাপ হলো সেই প্রশ্ন আপেক্ষিক। কারণ তা প্রমাণ করতে সময় প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে বারবার শিক্ষা কারিকুলামে গ্রহণ-বর্জনের তোড়জোড়ের পেছনে ‘হাওড়ের উপর অহেতুক পদ্মা সেতু প্রকল্প’ জাতীয় অর্থ লেনদেনের গোপন এজেণ্ডা লুকিয়ে থাকতে পারে তা আমজনতার অজানা।
একটি দেশের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনে কত টাকার শ্রাদ্ধ হয় এবং দেশের তথাকথিত শিক্ষাবিদগণ অপ্রয়োজনীয় কারিকুলাম পরিবর্তন প্রকল্পের মাধ্যমে কী পরিমাণ ‘ফাও টাকা’ উপার্জন করেন তার শ্বেতপত্র কখনো প্রকাশিত হবে না। পুরো দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ‘স্ট্রাগলিং লার্নার’ মানে কম মেধাবী কিংবা ক্লাস রুম ভালো লাগে না। অন্তত তাদের কথা চিন্তা করেও যারা ঘন ঘন কারিকুলাম পরিবর্তন করতে সরকারকে প্ররোচিত করেন, আমার মতে তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এক নম্বর শত্রু। নতুন কারিকুলাম নিয়ে তথাকথিত টিকটক ভিডিওগুলো মূলত আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে তাদের অপরাধগুলো ধামাচাপা দিচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ধ্বংস হয়ে গেছে সেই ২০১০ সালের পর থেকে। এখন চলছে জাহাজ ভাঙা শিল্পের মতো তাকে ভাঙচুর করে ব্যবসা করা।
লেখক ও চিকিৎসক