সৈয়দ ইশতিয়াজ রেজা: ঢাকায় জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির একটা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সমন্বয়ক ছিলাম। প্রশিক্ষণার্থীরা সব মধ্যবয়সী। যিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি একসময় ম্যানিলা ইউনিভার্সিটির ডিন ছিলেন। ক্লাসের ভিতর সবাইকে নিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ লাফালেন, তারপর স্লাইড দেখালেন, আবার মাঝপথে সবাইকে নিয়ে বাগানে গেলেন, দৌড়ঝাঁপ করে এলেন। প্রায় প্রতিদিনই অভিনব সব কাজ করে তিনি শেখালেন। প্রশিক্ষণ শেষে সবাই জানালো, অনেক শিখেছেন তারা। কোনো ক্লান্তি আসেনি ক্লাস করতে।
আমাদের গাড়ল সম্প্রদায় মনে করে, শিক্ষক মানে ক্লাসের ভেতর ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলে যাবে, আর দায়িত্ব শেষ হবে। উন্নত বিশ্বে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য, বিশেষ করে প্রাইমারি শিশুদের জন্য নানা রকমের শারীরিক, মনস্তাত্ত্বিক কাজ করেন পড়ালেখাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে। এজন্য শিক্ষকদের বিষয় সম্পর্কে জানা ছাড়াও পশুপাখির ডাক শিখতে হয়, জানতে হয় শারীরিক অঙ্গভঙ্গিও। সেই চেষ্টাই হচ্ছে এখন বাংলাদেশের নতুন কারিকুলামের অধীনে। আর সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রল বাহিনীর ফাতরামি... ভয়ংকর আত্মঘাতী জাতি আমরা। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুকে ৩-১২-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে।