শোয়েব সর্বনাম: রাষ্ট্র চাইলেই সৃজনশীল মানুষদের তৈরি করতে পারে না। সৃজনশীলরা নিজ থেকেই জন্ম নেন। রাষ্ট্রের কাজ তাদের যত্ন নেওয়া। সেদিন রাহুল আনন্দের সঙ্গে ফোনে আড্ডা হচ্ছিলো, তিনি এরকম বললেন। সৃজনশীলরা যে পরিস্থিতিতেই থাকেন, সৃজনশীলতা হাজির করতে থাকেন। ওইটা রাষ্ট্রের সম্পদ হয়ে যায়। রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে শুধু এটুকু নজর রাখা যে, তাদের কেউ যেন বিরক্ত না করে। রাহুলদা অবশ্য আরেকটু কড়া ভাষায় বলছিলেন, যেন ছাগলে খেয়ে না ফেলে। ছাগলটা তো জানে না সে কী খাচ্ছে। কার ক্ষতি করছে। এসব কথা তিনি মূলত শাহ আব্দুল করিমের শত্রুদের উপর ক্ষেপে গিয়ে বলছিলেন।
কুড়িগ্রামের এক চারণকবিকে মারধোরের ঘটনায় কথাগুলো আবার মনে পড়লো। ওই চারণকবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে গুলশানে বসিয়ে রাখলে লাভ হবে না। তারে ওই কুড়িগ্রামের ভিতরেই তার জীবনটা নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে যাপন করতে দিতে হবে। সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গান গেয়ে পয়সা তুলবে। রোদের মধ্যে খামাখা একতারা একটা হাতে নিয়ে নদীর পার দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে থাকবে। গাছতলায় বসে জিরাবে। তারপর একদিন সন্ধ্যা থেকেই জোৎস্না হলে সে নতুন কবিতা লিখবে। গান বাঁধতে বসবে। ওদের যত্ন নেয়া হোক। লেখক: কথাসাহিত্যিক